আগের ম্যাচেই চিটাগাং কিংসের শরিফুল ইসলামের হাত থেকে এসেছিল বিপিএলের অন্যতম ম্যাজিকাল বোলিং ফিগার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাত্র ৫ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। লিগ পর্বের শেষ দিনে এসে হাসান মাহমুদও দেখালেন তেমন কিছুই। রান দিয়েছেন ৫, তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট।
তবে বিপিএলের রেকর্ডবুকে শরিফুলের চেয়ে খানিকটা এগিয়েই থাকছেন হাসান মাহমুদ। শরিফুল ৫ রানে ৪ উইকেট নিতে বল করেছিলেন ৩.২ ওভার পর্যন্ত। আর হাসান নিজের ৪ ওভারের পুরোটাই শেষ করেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে। বিপিএল ইতিহাসে পুরো স্পেল করেছেন এমন বোলারদের মাঝে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলিং এখন হাসান মাহমুদের।
শরিফুল আগের দিনে বোলিং স্পেল শেষ করেছেন ১.৫০ ইকোনমি রেটে। হাসান মাহমুদ পুরো স্পেল বল করেছেন ১.২৫ ইকোনমিতে। যদিও এই ক্ষেত্রে তিনি এককভাবে শীর্ষে থাকছেন না। পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি এবং বাংলাদেশের নাহিদুল ইসলামও ৪ ওভারের বোলিং স্পেল শেষ করেছিলেন ৫ রানের খরচায়।
হাসান মাহমুদ ও শহীদ আফ্রিদি দুজনেই নিজ নিজ স্পেলে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। ২০১৫ আসরে সিলেট সুপারস্টার্সের জার্সিতে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক। আর ২০২২ আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে নাহিদুল ইসলাম ৪ ওভারের স্পেলে ৫ রানের খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এবারেও প্রতিপক্ষ বরিশাল। তবে দলের নাম তখন ফরচুন বরিশাল।
অবশ্য সামগ্রিকভাবে বিপিএলে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলিং আরাফাত সানির দখলে। ২.৪ ওভার বল করে কোনো রান খরচ না করে পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। ২০১৬ আসরে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য সেই স্পেল করেছিলেন এই স্পিনার।