চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রায় সবগুলো ম্যাচই হচ্ছে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে। পাশাপাশি আছে ইম্প্যাক্ট সাবের সুবিধা। সবমিলিয়ে এবারের আসরে রানবন্যা চলছে। ব্যাটারদের এমন তাণ্ডবের মধ্যে যেন দিশেহারা নাবিক বোলাররা! রীতিমতো অথৈ সাগরেই পড়েছেন তারা। মিচেল স্টার্ক, আনরিক নরকিয়ে, কাগিসো রাবাদা কিংবা রশিদ খানদের মতো তারকারাও পায়ের তলায় মাটিয়ে খোঁজে পাচ্ছেন না।
বোলারদের এমন খারাপ অবস্থার চিত্রটা আরও স্পষ্ট পরিসংখ্যানে। চলতি মৌসুমে বোলাররা ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৯ রান করে দিয়েছেন। এবার দলগুলো আড়াই শ রানের কোটাই ছুঁয়েছে ৭ বার। একটা টি-টোয়েন্টি আসরের মাঝপথে এমন পরিসংখ্যান অবাক করার মতোই।
বোলারদের এমন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আইপিএলে ক্রিকেটের মান খুবই ভালো। প্রতি দুটো ম্যাচের একটায় বড় রান হচ্ছে। আইপিএলের ম্যাচগুলিতে এখন ২৫০-২৬০ রান হচ্ছে। আগে কিন্তু এ রকম হত না। খুব সম্প্রতিই আমরা দেখছি ২৫০-এর কাছাকাছি বা বেশি রান উঠতে। গত মৌসুম থেকে বেশি হচ্ছে এ রকম রান। বেশি রান উঠছে।’
‘বোলারেরা পিচ থেকে কোনো সাহায্য পাচ্ছে না। বাউন্ডারি ছোট করে দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট পিচ তৈরি করা হচ্ছে। আগে নতুন বল কিছুটা সুইং করতো। এখন সেটাও হয় না। অনেক কিছু বদলে গেছে। বোলারদের জন্য কিছুই হয়নি। বোলাররা এখন মার খাওয়ার জন্যই মাঠে নামে।’-যোগ করেন সিরাজ।
বন্ধুর স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন যে অভিনেত্রী
আইপিএলে বেশি রান হওয়াটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাই এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলারদের মানিয়ে নিতে হচ্ছে। বিশেষ করে আমাকে। জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। বোলার হিসেবে বিশ্বাস করি, কোনো ম্যাচে মার খেলেও পরের ম্যাচে ফিরে আসতে পারবো। সব সময় সে ভাবেই চেষ্টা করেছি। কখনও হাল ছেড়ে দেই না। কিন্তু খেলাটা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ভালো বলেও চার হয়ে যাচ্ছে। আমার কোনো সমস্যা নেই। মনে করছি না, আইপিএলে আমি খারাপ বল করছি। ৪০ রান এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।’