আফগানিস্তানের জন্য অবিশ্বাস্য, স্মরণীয় এক দিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বমঞ্চে প্রথমবার ‘মাইটি’ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ঐতিহাসিক এক জয় তুলে নিয়েছেন নবি-রশিদরা। তাই এই দিনটিকে বরাবরই স্মৃতির পাতায় রাখতে চাইবে আফগান সমর্থকরা।
গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের মতো পরাশক্তিকে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় রশিদ খানের দল। এবার সুপার এইটে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হেসেখেলেই হারাল আফগানিস্তান।
রোববার (২৩ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে আফগানদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ধীরগতিতে শুরু করলেও পরে দ্রুত রান তোলেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ১৩ দশমিক ২ ওভারে দলীয় শত রান পূর্ণ করেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান পায় আফগানরা। সবশেষ হাফ-সেঞ্চুরি করেই ফেরেন দুই ওপেনার। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ম্যাক্সওয়েলের ৫৯ রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি। এতে ৪ বল বাকি থাকতেই ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা।
আফগানদের এই জয়ে বল হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন গুলবাদিন নাইব। অজিদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২০ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। ম্যাচ শেষে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ম্যাচ শেষে গুলবাদিনের ভাষ্য, ‘এটার জন্য আমরা লম্বা সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। এই আনন্দের মুহূর্তটি শুধু আমার জন্য নয়, এটা আমার জাতি এবং দেশের মানুষের জন্যও দারুণ এক মুহূর্ত।’
এই পেসার আরও বলেন, ‘এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় অর্জন। আমার কিছু বলার ভাষা নেই, তবে আমাদের ক্যারিয়ার এবং আমাদের ক্রিকেট যাত্রাকে সমর্থন করার জন্য সমর্থকদের জানাই ধন্যবাদ। এটি একটি দুর্দান্ত টিমওয়ার্ক, আমরা গত দুই মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং এর ফল এখন সবার সামনে।’
তনুশ্রী দত্তকে যৌ.ন হেনস্তার চেষ্টায় মুখ খুললেন নানা পাটেকার
গুলবাদিনের মন্তব্য, ‘অবশেষে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পেরেছি। প্রথম রাউন্ডে আমরা ভালো খেলেছি এবং নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সহজ ছিল না। তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল এবং এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় অর্জন।’