করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি আমজনতা ধীরে ধীরে ডিজিটাল মিডিয়ার দিকেই ঝুঁকেছে। তাই প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে একটি পূর্ণদৈর্ঘের সিনেমা দেখতে পরিবর্তে ওটিটি মাধ্যমগুলিকেই বিনোদনক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর সেখানেই জন্ম হয়েছে ওয়েব সিরিজের।
তবে সেক্ষেত্রে বিনোদনের ধারা বয়স অনুযায়ী বদলে গেছে অনেকাংশে। এই অনলাইন থিয়েটার জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এডাল্ট ওয়েবসিরিজগুলি। উত্তেজনাবর্ধক কাহিনীর উপর আধারিত এই ধরণের বেশিরভাগ ওয়েবসিরিজগুলি বর্তমান সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদনের অন্যতম উৎস হিসেবে গোপনে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বলা বাহুল্য বিভিন্ন নামিদামি তারকা সিনেমার বদলে এখন ওয়েব সিরিজে কাজ করতে পছন্দ করছেন। পাশাপাশি এই ওয়েব সিরিজ জগতে এসেছে লজ্জার সীমা অতিক্রম করা, লাস্যময়ীতায় ভরপুর বিভিন্ন কাহিনী। এছাড়াও সাহসী সব দৃশ্য এইসব সিরিজের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। এককথায় বলা চলে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মুড়ি মুড়কির মত বিক্রি হচ্ছে অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ। আর এই মুহূর্তে বাজার কাঁপাচ্ছে ‘কোকু’, ‘উল্লু’, ‘এমএক্স অনলাইন’ ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তরোত্তর।
বিগত সময়ে দর্শকদের মধ্যে গোপনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে উল্লু প্ল্যাটফর্মের ‘লাভ গুরু’ ওয়েবসিরিজটির দ্বিতীয় ভাগ। এই সিরিজে একটি পরিবারের গল্প দেখানো হয়েছে, যেখানে মা ও মেয়ে থাকে। এবার মেয়ের বয়ফ্রেন্ডকে দেখেই মায়ের কামনা জেগে ওঠে। তিনি তাকে বিছানায় পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে ওঠেন এবং তাকে বশ করতে ‘লাভগুরু’র কাছে টিপস চাইতে যান। এদিকে মায়ের শারীরিক খিদের কারণেই ভাঙন ধরতে শুরু করে ছোট্ট এই পরিবারে। একদিকে যেমন মায়ের থেকে দূরে যেতে থাকে মেয়ে, অন্যদিকে হবু শাশুড়ির খিদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে যুবকের অবস্থাও নাজেহাল হয়। এভাবেই ক্লাইম্যাক্স টানা হয় গল্পে।
তামিম-মিরাজের তোলপাড় সৃষ্টিকারী বিজ্ঞাপন নিয়ে যা বললেন পাপন
এই সিরিজে একাধিক ‘বেড-সিন’ রয়েছে। আর এইসব সাহসী দৃশ্যই বেশি আকৃষ্ট করেছে কমবয়সী দর্শকদের। কারণ এই সিরিজে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাজসী ভার্মাকে দেখা গেছে। মায়ের চরিত্রে নিজের শরীরকে যেন ফুটন্ত গোলাপের মতো মেলে ধরেছেন তিনি। ‘উল্লু’ এপ্লিকেশনের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে তবেই এই ওয়েবসিরিজ দেখতে পারবেন আপনিও।