সস্তা বলে শাককে খুব একটা পাত্তা দিতে চান না অনেকে। এদিকে সেসব শাকে থাকে প্রচুর উপকারিতা। তবে সবাই যে শাক পছন্দ করেন না, এমনও নয়। অনেকে আবার শাকের যেকোনো পদ হলেই খাওয়া শেষ করে উঠে যেতে পারেন। বাঙালি খাবারের আয়োজনে শাক না থাকলে তা পূর্ণতা পায় না যেন।
বিভিন্ন ধরনের শাকে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। তাই শাক খেলে তা আমাদের চুল এবং হাড়কে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতেও কাজ করে। নিয়মিত শাক খেলে এড়ানো সম্ভব হয় ক্যান্সারের মতো রোগও।
সবুজ শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি আমাদের পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। নিয়মিত শাক খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে পেটে পাথরের সমস্যা হয় না। জিঙ্ক, ফসফরাস, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ শাক নানা উপকারিতা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের শাকে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। শাকে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়েও গঠনেও ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক উপকারী ৩টি শাক সম্পর্কে-
১. মেথি শাক
উপকারী শাকের তালিকায় শুরুর দিকেই থাকবে মেথি শাকের নাম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই সবুজ শাক আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখতে কাজ করে। গোলাকার এই ছোট ছোট পাতা কিন্তু ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যও অনেক উপকারী। মেথি শাক ভাজি, ভর্তা কিংবা ঝোল রান্না করে খেতে পারেন। যেকোনো মাছের পাশেও এই শাক দিয়ে রান্না করা যায়।
২. কচুর শাক
নিয়মিত কচুর শাক খেলে চোখের সমস্যা হয় না, একথা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছেন নিশ্চয়ই? আসলে কচু
শাকে থাকে ভিটামিন এ, এটি আমাদের চোখ তো ভালো রাখেই, সেইসঙ্গে প্রতিরোধ করে বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার অবক্ষয়ও। কচুর শাকে আরও থাকে প্রচুর ভিটামিন সি, এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কচু শাক খেলে ত্বকও ভালো থাকে। আমাদের দেশে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাক রান্না খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় খাবার। এছাড়া আপনার নিজস্ব যেকোনো রেসিপিতে রান্না করতে পারেন এই শাক।
৩. কলমি শাক
আমাদের দেশের আরেকটি পরিচিত শাক হলো কলমি। পুকুর কিংবা বিলের ধারে অবহেলায় বেড়ে ওঠে এই শাক। তবে এখন অনেক জায়গায় বানিজ্যিকভাবেও চাষ হচ্ছে কলমি শাক। এই শাকে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেইসঙ্গে আরও থাকে পর্যাপ্ত খনিজ। যে কারণে কলমি শাক নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যের নানা উপকার মেলে। আপনি যদি খাবারের তালিকায় ভিটামিন ও আয়রন যোগ করেন তাহলে তা বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। এই শাকে ক্যালোরি থাকে খুব কম, যে কারণে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।