‘আন্দাজ’, ‘মুঝসে শাদি করোগি’ আর ‘এতরাজ’-এর মতো বহু হিট বলিউড ছবি উপহার দিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার আর প্রিয়াংকা চোপড়া। তারপর হঠাৎই তারা একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেন। খবর, স্ত্রী টুইঙ্কলের আপত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন খিলাড়ি কুমার।
বলিউডে নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে লিঙ্কআপ কোনও নতুন ঘটনা নয়। একসঙ্গে দু থেকে তিনটির বেশি ছবি করলেই শুরু হয়ে যায় তাদের প্রেম নিয়ে চর্চা। বিশেষ করে সেই সিনেমাগুলিতে যদি থাকে বোল্ড সিন। অক্ষয় কুমার আর প্রিয়াংকা চোপড়ার প্রেমের চর্চা শুরু হয়েছিল ২০০৪-০৫ সাল নাগাদ। এমনকী, তারপর থেকে একসঙ্গে কাজ করাও বন্ধ করে দেন তারা।
দুইজনের জুটি নিয়ে পরিচালক সুনীল দর্শন একবার বলেছিলেন, অক্ষয়-পত্নী টুইঙ্কই নাকি চাইতেন না তার বর কাজ করুক প্রিয়াংকার সঙ্গে। এমনকী তার ছবি ‘বরসত’ থেকে নাকি এই কারণেই শেষ মুহূর্তে সরে গিয়েছিলেন খিলাড়ি কুমার।
২০০৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বরসাত, যাতে অভিনয় করেছিলেন ববি দেওল, কারিনা কাপুর, কারিশমা কাপুর। তবে প্রথমে অক্ষয়েরই কাস্টিং হয়েছিল এই ছবিতে। একটি গানের শ্যুটও করেছিলেন তিনি। তবে তারপর ছবি থেকে সরে দাড়ান। সেই জায়গায় আসেন ববি।
এক সাক্ষাৎকারে সুনীল দর্শন জানান, ‘অক্ষয় কুমার আর প্রিয়াংকা চোপড়া দারুণ জুটি ছিল। ওদেরকে খুব ভালো লাগত একসঙ্গে। কেমিস্ট্রি অসাধারণ। আমার তো গানটা দারুণ লেগেছিল। কী সেনসুয়াস, কিন্তু ভালগার নয়। এরপর প্রিয়াংকা গেল ওয়ার্ল্ড ট্যুরে, জানি না মাঝে কী হল।’
সুনীল জানান, তিনি পরে জানতে পারেন অক্ষয়ের বউ টুইঙ্কলের এই জুটি নিয়ে সমস্যা ছিল। ‘পরে আমি জানতে পারি ওর (অক্ষয়) আর ওর বউয়ের মধ্যে কিছু আলাদা ইস্যুও আছে। আমার কানে আসে টুইঙ্কলের সমস্যা আছে প্রিয়াংকাকে নিয়ে। আমার তো মনে হয় এই পেশারই আলাদা সমস্যা আছে। মাঝে মধ্যে নৈকট্য, কখনো তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনশৈলী এসব বাড়িয়ে দেয়, আর তাতে ধুয়ো দেয় মিডিয়া। কেউ একবারও ভাবে না এর ফলে একজন পরিচালকের কত ক্ষতি হতে পারে।’