নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে মাত্র তিন লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশ ভানুয়াতু।
এবারই প্রথম দেশটির পুরুষ বা নারীদের কোনো দল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে নামে। প্রথমবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূলপর্বে খেলতে নেমেই র্যাঙ্কিংয়ের ১২ নম্বর দলকে হারিয়েছে ৩০তম স্থানে থাকা ভানুয়াতু। এ ছাড়া আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দলের বিপক্ষে এটিই ছিল ভানুয়াতুর প্রথম ম্যাচ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে ১৩ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ৬১ রানে অলআউট করে দেয় ভানুয়াতু। বল হাতে ভানুয়াতুর লেগ-স্পিনার নাসিমানা নাভাইকা চারটি ও অফ-স্পিনার ভানিসা ভিরা তিনটি উইকেট নেন। জবাবে ১৬ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভানুয়াতু। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন নাভাইকা।
২০১৪ সালে জাপানে আইসিসির পূর্ব এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের টুর্নামেন্টে ভানুয়াতুর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে প্রশান্ত অঞ্চলের বাছাইয়ে ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতে তারা।
এবার বাছাইপর্বে খেলতে আসার আগে নিজ দেশের মানুষের কাছ থেকে ভানুয়াতুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে চাঁদা তুলতে হয়। কারণ, আর্থিক সমস্যায় ভুগছে তারা। আইসিসির দেওয়া বার্ষিক ৫ লাখ ডলার অনুদানের পরও হিমশিম খাচ্ছে তারা।
আইসিসির ওই অর্থ দিয়ে ভানুয়াতুকে পুরো দেশের ক্রিকেট চালাতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে বাছাইপর্বের আগে চাঁদা তুলে তারা। তাতে প্রায় ৬ হাজার ৩১৭ ডলার চাঁদা ওঠে। সেই অর্থ দিয়ে দলের সব খেলোয়াড়দের নতুন ব্যাগ, ব্যাট, দুই জোড়া করে গ্লাভস, প্যাড, থাই প্যাড, হেলমেট, জার্সি দেওয়া হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় খেলতে নামার আগে ভানুয়াতু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টিম কাটলার বলেছিলেন, ‘আমাদের মেয়েরা যেকোনো খেলায় র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অবস্থানে থাকে। তাদের নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা, আবুধাবিতেও বিশ্বকে চমকে দেবে তারা।’