স্মার্টফোন ছাড়া এল মুহূর্তও চলে না আমাদের। সারাক্ষণ কোনো না কোনো কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করেই যাচ্ছেন। তবে এই স্মার্টফোন আপনার চোখে যেন বড় কোনো ক্ষতি ডেকে না আনে তার জন্য সচেতন থাকতে হবে। স্মার্টফোনের ডিসপ্লে সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন। নতুন ফোন কিনুন বা পুরোনো ফোন একটানা ব্যবহারের সময় কিছু টিপস মেনে চলুন। তাহলে দেখবেন চোখের কোনো ক্ষতি হবে না।
জেনে নিন সেগুলো কী
ফোনের ডিসপ্লে
নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিন তাতে যেন অ্যামোলেড বা সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে রয়েছে কি না। এই ডিসপ্লেগুলো এলসিডি ডিসপ্লের থেকে অনেক উন্নত এবং আধুনিক। এই ডিসপ্লেতে ভালো রশ্মি পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই ডিসপ্লেগুলো কম ব্যাটারি খরচ করে। বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানি অ্যামোলেড ডিসপ্লে স্মার্টফোন বিক্রি করে।
স্ক্রিন প্রোটেকশন
আপনি নিশ্চয়ই জানেন অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এটি চোখের যেন একদমই ভালো না। শুধু ঘুম নয়, মাথা ব্যথার কারণও হতে পারে স্মার্টফোন থেকে আসা নীল আলো। তাই স্ক্রিন প্রোটেকশন বা ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
কার্ভ ডিসপ্লে ফোন
যে স্মার্টফোনগুলোতে কার্ভ ডিসপ্লে রয়েছে সেই রকম ফোন কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো শুধু ডিসপ্লেতে ভালো কনটেন্ট প্রদর্শন করে না। যে কন্টেন্ট দেখছেন তার ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করে। তাই কার্ভ ডিসপ্লে ফোন হলে অতি উত্তম।
ফোনের ব্রাইটনেস
অনলাইন হোক বা অফলাইন ফোনের ফিচার্স ভালো করে যাচাই করুন। চোখ বাঁচাতে চাইলে ব্রাইটনেস যাচাই করা আবশ্যিক। যে সব স্মার্টফোনে ব্রাইটনেস বেশি সেগুলো আপনার চোখের জন্য ভালো হবে। সাধারণত ৫০০ থেকে ৭০০ নিটস ব্রাইটনেসের স্মার্টফোন কিনে থাকুন ক্রেতারা। এই ব্রাইটনেস থাকলে সূর্যের আলোয় স্ক্রিনে ভালো করে কিছু দেখা যায় না। তবে এই না যে অতিরিক্ত ব্রাইটনেস থাকা উচিত। সেটিও ক্ষতিকারক। স্মার্টফোনে অ্যাডাপটিভ ব্রাইটনেস ফিচার বেশ কার্যকরী। যা আজকাল অনেক কোম্পানি দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ফোনের ডার্ক মোডও কাজে আসতে পারে।
রিফ্রেশ রেট
উচ্চ রিফ্রেশ রেট রয়েছে এমন স্মার্টফোন কেনা উচিত। ভালো রিফ্রেশ রেট হলে স্ক্রিন আরও মসৃণ হয়। ভালো স্ক্রিনিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তাই ৯০ হার্জ থেকে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট রয়েছে এমন স্মার্টফোন কেনার চেষ্টা করুন।