অভিযোগ ছিল টুর্নামেন্ট শুরুর দিন থেকেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাকি সব দলকেই যখন খেলতে হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন স্টেডিয়ামে, তখন টিম ইন্ডিয়া সব ম্যাচই খেলেছে কেবল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পাকিস্তানে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে যেতে চায়নি ভারত। আইসিসিও বিকল্প ব্যবস্থায় ভারতের সব ম্যাচই রেখেছে একই স্টেডিয়ামে।
এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে ভারতকে দেয়া অন্যায় সুবিধা নিয়ে। একই কণ্ডিশন এবং পিচে বারবার খেলার কারণে ভারত অন্য দলের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে, এই কথাই ঘুরেফিরে এসেছে। সেইসঙ্গে ভ্রমণক্লান্তি না থাকার বিষয়টিও সামনে এনেছেন অনেকে। ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন প্যাট কামিন্স, মাইকেল আথারটন, নাসের হুসাইন, রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের মতো বড় নাম।
যদিও ভারতের এমন বাড়তি সুবিধার কথা নাকচ করছেন গৌতম গম্ভীর, রোহিত শর্মারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলছে, তাতে দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে এমন অভিযোগে মেজাজও হারিয়েছেন গম্ভীর। কিন্তু এ বার দুবাইয়ে সব ম্যাচ খেলার সুবিধার কথা স্বীকার করলেন মোহাম্মদ শামি।
সব দলই পাকিস্তানে ভিন্ন ভিন্ন মাঠে খেলছে, আবার ভারতের সঙ্গে খেলতে দুবাই আসছে। এমন প্রসঙ্গে ভারতের পেসার শামি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই দারুণ সুবিধা পাচ্ছি। এখানকার পিচ এবং আবহাওয়া আমাদের পরিচিত। একটা মাঠেই যখন আপনি সব ম্যাচ খেলবেন, তখন এটা আসলেই বাড়তি পাওয়া।’
এর আগে ভারতের কোচ গম্ভীর সেমিফাইনালের ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘প্রথম কথা হলো, এটা আমাদের জন্য ততটাই নিরপেক্ষ ভেন্যু, যতটা অন্যদের জন্য অন্য ভেন্যু। আমার তো মনেও নেই, সবশেষ কবে কোন টুর্নামেন্টে আমরা এখানে খেলেছিলাম! এই যে এত বিতর্ক চলছে যে, অন্যায্য সুবিধা এবং আরও নানা কিছু… কিসের অন্যায্য সুবিধা? এখনও পর্যন্ত তো আমরা এখানে (মূল মাঠে) একদিনও অনুশীলন করিনি।’
গম্ভীর বলেছিলেন, ‘অনুশীলন আইসিসি একাডেমিতে করছি। ওখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে এখানকার কন্ডিশনের পার্থক্য ১৮০ ডিগ্রি! ওখানকার উইকেট ও এখানকার উইকেটের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। কিছু লোক সবসময়ই ছিচকাঁদুনে। তাদের উচিত পরিণত হওয়া। আমার মনে হয়, আমাদের কোনো অন্যায্য সুবিধা পাওয়া বা সেভাবে পরিকল্পনা করার মতো কিছু হয়নি।’