টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে। নিজেদের প্রথম ম্যাচের জন্য অবশ্য এখনো অপেক্ষায় আছে টাইগাররা। সবশেষ দল হিসেবে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে তারা। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা। যে দলে বড় এক ভরসার নাম হয়ে আছেন সৌম্য সরকার। ওপেনার হিসেবে তো বটেই, তার মিডিয়াম পেসের দিকেও কিছুক্ষেত্রে নির্ভর করবে দল।
বিশ্বকাপ নিয়ে দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রচার করছে বিসিবি। আজ সোমবার ছিল সৌম্য সরকারের পর্ব। সেখানে তিনি জানালেন নিজের স্বপ্ন আর লক্ষ্যের কথা। বললেন, বিশ্বকাপ খেলা গর্বের, স্মরণীয় কিছু দিতে চান দলকে।
সৌম্য বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যেকোন বিশ্বকাপে খেলাই একটা গর্বের বিষয়, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবারও সেরকম রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালে আমার জন্য স্মরণীয় করতে পারি এবং পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।’
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত মিশ্র। তবে তাকে নিয়ে বেশ আশাবাদী সৌম্য, ‘শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে একসাথে ছিলাম। দেখেছি সে(শান্ত) পুরো দলকে একত্র করে ভালো করার চেষ্টা করেছে। আশা করি সবকিছু একত্র করে একটা বিশ্বকাপে সে সবাইকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা, আশা করব সে বাংলাদেশকে অধিনায়কত্বের দিক থেকে নতুন কিছু উপহার দিবে।’
সৌম্য আরো বলেন, ‘শান্ত নতুন অধিনায়ক, সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই আছে, আমরাও অনেক দিন ধরে খেলছি। সবার অভিজ্ঞতাকে একসাথে করে দল হিসেবে খেললে আশা করি আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’
পুরো দলের অনেকেই যখন সুপার এইট বা সেমির কথা বলেছেন, সেখানে সৌম্য স্বপ্ন দেখেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার, ‘সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কেউ সেমিফাইনাল বললে আমি বলব ফাইনাল খেলতে যাব। তারপরে রেজাল্টের কথা আসবে। মাঠে ভালো খারাপের উপর ফলাফল আসবে। খেলায় উত্থান-পতন, ভালো-খারাপ, হার-জিত থাকবে। আমরা আমাদের দিক থেকে চাইব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।’