বস্ত্রহীন বাহু যুগল। সফেদ কাপড়ে শরীরের একাংশ ঢাকা। মাথার চুলগুলো এলোমেলোভাবে ছেড়ে দেওয়া। দৃষ্টি স্থির হয়েছে অজানায়। ফেসবুকে পোস্ট করা সাদা-কালো ছবিতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিনহা।
সম্প্রতি বেশ ক’টি সাদা-কালো ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন সঙ্ঘশ্রী সিনহা। এসব ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন— ‘সেক্সি হলো মনের অবস্থা।’ এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়। নেটিজেনদের অনেকে সঙ্ঘশ্রীর লুক ও বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
হঠাৎ এমন লুকে ফটোশুট করার কারণ জানতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে সঙ্ঘশ্রীর সঙ্গে। আলাপচারিতার শুরুতে জানতে চাওয়া হয়, প্রথা ভাঙতেই কি এমন লুকে ছবি তুলেছেন? জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘যেকোনো চেহারায়ই আকর্ষণীয় ও লাস্যময়ী হয়ে ওঠা যায়। জানি, হয়তো কেউ কেউ এই ছবি দেখে আমাকে খারাপ বলবে, তবে তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না!’
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মেধার পাশাপাশি সৌন্দর্যের মাপকাঠিও জরুরি। এ বক্তব্য সমর্থন করেন কিনা? প্রশ্ন শুনে অভিনেত্রী বলেন, ‘সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে মেধার প্রয়োজন ঠিকই, কিন্তু কত সাইজের বুক, কোমর, নিতম্ব হতে হবে সেটাও বলা থাকে। ঐশ্বরিয়া, প্রিয়াঙ্কা, সুস্মিতা মেধার জোরেই খ্যাতি কুড়িয়েছেন। বাকি বিজয়ীরা কোথায়? তারা কোথায় হারিয়ে গেল!’
সঙ্ঘশ্রী প্লাস-সাইজ বা স্থূলকায়। কিন্তু প্লাস সাইজ বিউটির ধারণায় বিশ্বাসী নন তিনি। এ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘প্লাস সাইজ বিউটি আবার কী? সৌন্দর্যের আবার প্লাস-মাইনাসের মাপকাঠি কিসের? নিজের মা, বন্ধু বা প্রেমিককে কি এই চোখে দেখি আমরা? তা হলে বাকিদের ক্ষেত্রেও এই একই দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে না কেন?’
‘আগে হাতকাটা পোশাক পরতে ইতস্তত বোধ করতাম। আমি জানতাম না এখন আমাদের সাইজের ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখি, বড় বড় ব্র্যান্ড প্লাস সাইজ বলে ৩৪ কোমরের পোশাক বিক্রি করে।’ বলেন সঙ্ঘশ্রী।
সঙ্ঘশ্রী ব্যক্তিগত জীবনে ভালো থাকতে চান। তা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৩৯ বছর বয়সে আমি ভালো থাকতে চাই। কে কী বলছে তাতে কানই দেব না! এত বছর তো সকলকে সন্তুষ্ট করে চললাম, কী হল তাতে?’
যেকোনো বিষয় নিয়েই মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল করে থাকেন। সঙ্ঘশ্রীও ট্রলের মুখে পড়তে পারেন। কিন্তু এ নিয়ে ভীত নন এই অভিনেত্রী। তার ভাষায়— সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা ট্রল করেন তারা সকলের নজরে পড়ে যায়। কিন্তু নিজের পাড়াতেও ট্রলিংয়ের শিকার হতে হয়, তার খবর ক’জন রাখে?’