কদিন আগেও ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শিরোপাধারী ফুটবলার ছিলেন দানি আলভেজ। ছিলেন ক্যারিয়ারের একেবারেই শেষ পর্যায়ে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপটাও শেষ করে এসেছিলেন। এরপরেই দুর্বিপাকে পড়ে সময়ের অন্যতম সেরা এই রাইটব্যাকের জীবনে।
দানি আলভেজের ওপর আনা হয় ধ.র্ষণের অভিযোগ। যা পরে প্রমাণও হয়। অভিযোগের দায়ে সাড়ে চার বছরের জেলসহ দেড় লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে। জেলে এরপর পার করেছেন দীর্ঘ ১৪ মাস। এতগুলো দিন পর অবশেষে কিছুটা সুখবর পেয়েছেন তিনি। ১ বছরের বেশি জেল খাটার পর অবশেষে তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বার্সেলোনার একটি আদালত ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ১২ কোটি টাকা) মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন পেলেও অবশ্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারকে।
শর্তানুযায়ী, জামিনে থাকা অবস্থায় স্পেন ছাড়তে পারবেন না আলভেজ। অভিযোগ আনা তরুণীর বাসস্থান ও কর্মস্থলের এক হাজারের মিটারের মধ্যেও প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
ইএসপিএন জানিয়েছে, আলভেজের জামিন আবেদন নিয়ে আদালতে শুনানি চলাকালে তার আইনজীবী ইনেস গার্দিওলা বলেন, জামিনে থাকলে আলভেজ স্পেনের বাইরে যাবেন না। মামলার কোনো আলামত-প্রমাণও ধ্বংস করার চেষ্টা করবেন না। এ সময় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে আলভেজ বলেন, আমি ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। আমি কোথাও পালিয়ে যাব না। শেষ পর্যন্ত আদালতের হাতেই থাকব।
উল্লেখ্য, ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মিলিয়ে সফল এক তারকা দানি আলভেজ। জিতেছেন ৪০ এর বেশি শিরোপা। ছিলেন পেপ গার্দিওলার সর্বজয়ী বার্সেলোনা টিমের অংশ। ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বার্সা ছাড়ার পর পুমাসের সঙ্গে চুক্তি করেন আলভেজ। তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় সেই চুক্তি বাতিল করে মেক্সিকান ক্লাব।
বার্সা ছাড়াও আলভেজ খেলেছেন সেভিয়া, পিএসজি, জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে। এ ছাড়া ২০২২ ফিফা কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের অংশ ছিলেন এই ডিফেন্ডার। অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার শিরোপা।