৪০ দিনের কর্মযজ্ঞ শেষে পর্দা নামছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের। তার আগে আজ (শুক্রবার) টুর্নামেন্টের মহারণী ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগাং কিংস। চলমান আসরজুড়ে অনেক আক্ষেপ আর অপ্রাপ্তি থাকলেও, বিপিএলের অপরাহ্নে দাঁড়িয়ে অসংখ্য রেকর্ডও আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে। তেমনই একটি রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের সামনে।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ও সর্বশেষ চার আসরে তৃতীয়বার ফাইনাল খেলতে নামছে ফরচুন বরিশাল। গত আসরে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতে। এবার তাদের সামনে বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেই সমীকরণ মেলাতে পারলে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়তে পারেন তামিম। এর আগে বিপিএলে টানা দুইবার শিরোপা জয়ের রেকর্ডটি রয়েছে দুজনের দখলে– মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ইমরুল কায়েস।
অবশ্য বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মাশরাফি এক্ষেত্রেও সবার চেয়ে এগিয়ে। বিপিএলের প্রথম তিন আসরেই তিনি টানা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। মাশরাফি সবমিলিয়ে বিপিএলের (সর্বশেষ রংপুর রাইডার্সের হয়ে ২০১৭ সালে) শিরোপা জিতেছেন চারবার। এর আগে প্রথম দু’বার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স এবং পরেরটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আর্মব্যান্ড পরে জিতেছেন মাশরাফি। ইমরুলও অবশ্য তার সমান তিনটি বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনবারই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে (২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩)।
গত বিপিএলের আগে খেলোয়াড় হিসেবে তামিমের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি থাকলেও, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম শিরোপার স্বাদ পান ২০২৪ আসরে। এবার তার সামনে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিপিএলের ১০ আসরে মাশরাফি, ইমরুল ও তামিমের বাইরে একবার করে নেতৃত্বের ভূমিকায় শিরোপা জিতেছেন সাকিব আল হাসান (২০১৬, ঢাকা ডায়নামাইটস) ও আন্দ্রে রাসেল (২০২০, রাজশাহী রয়্যালস)।
বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটিও মাশরাফির দখলে। চলতি আসরেও খেলার কথা ছিল তার, কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় শেষ পর্যন্ত মুর্তজার আর সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি। তিনি সর্বোচ্চ ১০৫টি ম্যাচে বিপিএলের পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় যথাক্রমে আছেন– সাকিব আল হাসান (৮৬), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮৫), মুশফিকুর রহিম (৮৫), তামিম ইকবাল (৬২) ও ইমরুল কায়েস (৪২)।