ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বড় তারকা নেইমার জুনিয়র। ফুটবল বিশ্বে তার প্রতিভা নিয়ে সংশয় ছিল না কারোরই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিজের পারফর্ম দিয়ে জয় করেছেন ভক্ত-সমালোচকদের মন। প্রজন্মের অন্যতম সেরার তালিকায় তার নাম জায়গা করে নেয় অবধারিতভাবে। তবে ইনজুরির কারণে নিজের সেরাটা প্রায় সময়ই মাঠে দেখানো হয়নি তার।
নেইমারের বিরুদ্ধে ফুটবল নিয়ে অভিযোগ না এলেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অভিযোগ এসেছে অনেকবারই। খেলার পাশাপাশি আমুদে জীবনকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে অনেকবারই আঙুল উঠেছে নেইমারের দিকে। মাঠের বাইরের জীবনকেই বেশি ভালোবাসেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা, এমন কথা বলেছেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন নেইমারের নতুন কোচ জর্জ জেসুস।
আল-হিলালে আসার পর নেইমার খুব একটা মাঠে ছিলেন না। তার আগেই এসিএল ইনজুরির কারণে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছেন ব্রাজিলের এই তারকা। এমনকি আগামী জুনে কোপা আমেরিকাতেও তাকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অনেকেরই ভাষ্য, আগস্টের শেষদিকে হয়ত মাঠে দেখা যাবে নেইমারকে।
ব্রাজিলের এই তারকা পুনর্বাসনে থাকলেও একেবারেই বসে নেই। এই মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে। কিন্তু, মানুষটা যে নেইমার। পার্টি করাও থেমে নেই। মাঝে তো বিলাসবহুল রণতরী নিয়ে বড় আকারের পার্টিও সেরে নিয়েছেন তিনি। আর এটাই পছন্দ হয়নি জর্জ জেসুসের।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মত নেইমার ফুটবলকেই প্রথম প্রাধান্য দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন পর্তুগিজ এই কোচ। জর্জ জেসুসের বক্তব্য, ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফুটবলের জন্য আরও বেশি নিবেদিত। আর তাই এটাকেই প্রাধান্য দেয়। নেইমারের অন্য কিছুতে আগ্রহ বেশি আর সেসব জিনিস, যেটা হয়ত তার ব্যক্তিগত জীবন, সেটাকেই এগিয়ে রাখে।’
যদিও খেলোয়াড় হিসেবে নেইমারের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি নেইমার, ‘তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে সে অসামান্য। আর একজন মানুষ হিসেবে আমি দেড়মাস তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, সে সব বিষয়ে ইতিবাচকতা দিয়ে আমাকে বিষ্মিত করেছে।’
৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড গত অক্টোবরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলার সময় হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান নেইমার। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। ব্রাজিলের মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণ শেষে পরদিনই জানানো হয়, অস্ত্রোপচারে যেতে হবে তাকে। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন নেইমার।