আপনার পেট কি মাঝে মাঝেই গরম হয়ে যায়? এর পেছনে কারণ কী থাকতে পারে এবং এর সমাধানই বা কী, তা বুঝতে পারছেন না? চিন্তা করবেন না, আপনি একা নন, আপনার মতো আরও অনেকেই আছেন। পেট গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা সাধারণ। এটি হতেই পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে বিচলিত হলে চলবে না। জেনে নিতে হবে এর কারণ ও সমাধান।
পেট গরম হয় কেন?
বিভিন্ন কারণ পেটের তাপ বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। ডিহাইড্রেশন, মসলাদার এবং আমিষ জাতীয় খাবারের অত্যধিক ব্যবহার, সেইসঙ্গে বাসি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস হতে পারে এর নেপথ্যে সাধারণ কারণ। কারো কারো ক্ষেত্রে পেটের তাপের কারণে বদহজম হতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে পেপটিক আলসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো পেট ঠান্ডা রাখতে কাজ করে-
কলা
এই উপকারী ফল শুধু পুষ্টিগুণেই সমৃদ্ধ নয়, এটি আপনার পেটের জ্বালাপোড়া থেকেও মুক্তি দিতে পারে। কলা পাকস্থলীর অম্লতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, এটি ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে। পেট ঠান্ডা রাখতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত কলা খেতে বলেন।
বাটারমিল্ক
বাটারমিল্ক অনেক জায়গায় মসলাদার খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়, এটি পেটকে প্রশমিত করতে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। বাটারমিল্ক খেলে তা কেবল আপনার শরীরকে শীতল করে না বরং আপনার বিপাককেও উন্নত করে। এই প্রোবায়োটিক-সমৃদ্ধ পানীয় প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা আপনার শরীরকে শক্তি জোগায় এবং পেটের তাপ থেকে মুক্তি দেয়।
শসা
শসা উচ্চ জলীয় উপাদান এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি। এটি পেট গরম হলে তা ঠান্ডা করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। শসা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। শসা খেলে তা সব সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে কাজ করে।
ডাবের পানি
ডাবের পানি খেলে আপনার শরীরে একটি প্রাকৃতিকভাবে শীতলতা অনুভব করবেন। ডাবের পানি ভিটামিন, খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ, এটি আপনার শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখে, কার্যকরভাবে তাপের চাপ কমায়।
দই
দইয়ের প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্য পেটের উপকারের জন্য বিখ্যাত। পেটের তাপ কমানোর একটি নিশ্চিত উপায় হলো দই খাওয়া। এটি দ্রুত অম্বল উপশম করে। দই খালি খান বা গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে, এটি আপনার পেটকে প্রশমিত করতে একটি নির্ভরযোগ্য সহযোগী।