খেলোয়াড়ি জীবনে ব্রাজিল, বার্সেলোনা আর পিএসজিতে একইসঙ্গে ছিলেন নেইমার জুনিয়র এবং দানি আলভেজ। বার্সায় নেইমারকে মানিয়ে নিতে ব্যাপক সাহায্য করেছিলেন আলভেজ। বার্সেলোনা, সেভিয়া, জুভেন্টাস কিংবা পিএসজির মত ক্লাবে সময় পার করা আলভেজ এখন আছেন বড় রকমের শাস্তির মুখে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বার্সেলোনায় অপরাধী জীবন পার করছেন তিনি।
সময়ের অন্যতম সেরা রাইটব্যাক দানি আলভেজ এই মুহূর্তে আছেন বড় রকমের বিপাকে। যৌন নিপীড়নের মামলা তো আছেই, এর সঙ্গে আছে স্ত্রীর বিচ্ছেদের মামলা। স্ত্রী দিনোরাহ সান্তানার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার জন্য আলভেসের সব সম্পত্তি আপাতত বাজেয়াপ্ত রয়েছে। অবস্থা এমনই নাজুক, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন সতীর্থদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ফুটবলার। আর তার এই আবেদনে সাড়া দিলেন নেইমার। প্রাক্তন সতীর্থকে পাঠিয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো (বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা)।
দানি আলভেজ এখন বার্সেলোনায় আছেন। শহর ছাড়ার অনুমতি নেই। এদিকে মামলার খরচও চালাতে পারছেন না। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত থাকায় আদালতের নির্দেশ মতো অভিযোগকারী তরুণীকে ক্ষতিপূরণের টাকাও দিতে পারছেন না তিনি। ক্ষতিপূরণ দিতে না পারলে কড়া সাজা হবে আলভেজের। এমন অবস্থায় নেইমারের পাঠানো টাকা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে বার্সেলোনার সাবেক তারকাকে।
তবে নেইমারের মহানুভব আচরণ এই প্রথম নয়, এর আগেও আলভেজকে সাহায্য করেছেন। তার হয়ে আইনি লড়াই চালানোর জন্য নিজের বাবার সংস্থার এক প্রবীণ আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছিলেন।
আলভেজের বিরুদ্ধে আদালতে ভরণপোষণের খরচ না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সান্তানা। দুই মামলায় জর্জরিত বন্ধুর পাশে আরও এক বার দাঁড়ালেন নেইমার। তবু আলভেজের কঠোর শাস্তি হতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যৌন নিগ্রহের মামলার শুনানি রয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে আলভেসের চার থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/cv-writing/
তবে আদালতের নির্দেশ মতো আলভেজ ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো দিতে পারলে কিছুটা কম শাস্তি হবে তার। সে ক্ষেত্রে তরুণীর আইনজীবী আলভেজের ন’বছরের কারাবাসের জন্য আবেদন করবেন। নেইমার বন্ধুকে সেই অর্থ দিয়েই সাহায্য করেছেন।