মা-বাবাদের একটি বড় দায়িত্ব সন্তান পালন করা। সন্তান যখন ১০ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে থাকে তখন এটি হয়ে ওঠে একটি কঠিন সময়। জীবনের এই সময়টিকে বলা হয় ‘টিনএজ’। এ সময়ে বয়ঃসন্ধিকাল আসতে পারে। মা-বাবাদের উচিত সন্তানের জন্য ঘরগুলিকে একটি শান্ত এবং নিরাপদ জায়গা করে তোলা। এই ব্যস্ত পৃথিবী কিশোর-কিশোরীদের জন্য কঠিন বলে মনে হতে পারে। বাড়ি হল আমাদের নিরাপদ জায়গা। যেখানে আমরা সান্ত্বনা এবং সমর্থন পেয়ে থাকি। কিন্তু কিভাবে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বাড়ি একটি আশ্রয়স্থল করা যায়?
১। সন্তানকে জানার চেষ্টা করুন
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হল উদ্বেগ। তারা ধরেই নেয় যে, আপনি তাদের চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, সমস্যা এবং জীবনের পরিস্থিতিগুলো বিচার করবেন। বেশিরভাগ শিশুই জানে যে, প্রাপ্তবয়স্করা তাদের চিন্তাভাবনাকে শিশুসুলভ এবং অপরিণত বলে মনে করে।
আপনি আপনার সন্তানকে জানার চেষ্টা করুন। তার সিদ্ধান্তগুলো শুনুন। এতে করে আপনার সন্তান মনের কথাগুলো আপনার সাথে ভাগ করে নিবে।
২। বিচার করার পরিবর্তে গ্রহণ করুন
সন্তানকে অবহেলা করা, ভুল বিচার করা বা উপেক্ষা করা হবে উদ্বেগের কারণ। যেকোনো পরিস্থিতে তাকে গ্রহণ করুন। গ্রহণযোগ্যতা ভালো পিতামাতার একটি গুণ। সন্তান ভুল করে থাকলে তাকে বোঝান। সৎ থাকার পরামর্শ দিন। তার কোনো কিছু নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। এতে সন্তান আত্নবিশ্বাস হারাবে।
৩। সন্তানকে বাচ্চা মনে করবেন না
কিশোর বয়স এমন একটি সময় যখন বাচ্চারা তাদের ব্যক্তিত্ব এবং শখ সম্পর্কে জানতে পারে। স্বতন্ত্র হওয়া থেকে আসে স্বাধীনতা। কিশোর-কিশোরীরা কঠোর নিয়ম, সময়সূচী এবং প্রত্যাশা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। এ সময় তাদের একটু ছাড় দিন। এতে আপনার সন্তান হবে আত্ন-নির্ভরশীল। এই বয়সে সন্তানদের বাচ্চা মনে করে থাকলে তাদের বৃদ্ধিতে ব্যঘাত ঘটবে।
৪। নিরাপদ পরিবেশে লালন-পালন করুন
আপনার সন্তানকে কথা বলার জন্য নিরাপদ জায়গা তৈরি করুন। সে যদি ঘরেই কথা বলার সাহস না পায় তাহলে বাহিরে কী হবে, ভেবে দেখেছেন? নিরাপদ পরিবেশে গড়ে তুলুন। এতে আপনার সন্তান থাকবে প্রাণবন্ত। ভবিষ্যতে সমস্যা সমাধানে সহজ হবে। আত্নবিশ্বাস আরও বাড়বে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/only-passport-diye/
৫। সহানুভূতিশীল হন
সন্তানের প্রতি রাগান্বিত হবেন না। এতে সে ভয় পাবে। ভবিষ্যতে অন্যায় কাজের সাথে জড়িয়ে যেতে পারে। তার প্রতি নরম থাকুন। এতে আপনার সন্তান অকপটে আপনার সাথে অনেক কিছু ভাগ করে নিবে। আপনি আপনার সন্তানকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত দিতে পারবেন।