আমরা যারা আধুনিক মোটরবাইকগুলো চালাই তাদের বেশিরভাগ বাইকেই কিক স্টার্টার থাকে না, বরং তার বদলে থাকে শুধুই সেল্ফ স্টার্টার। কিন্ত বাইকের ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সেল্ফ স্টার্টার কিন্ত কাজ করতে ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ বাইক স্টার্ট করা যায় না। এই কারণেই আমাদের চিন্তার একটা বড় কারণ হলো বাইকের ব্যাটারি।
কিভাবে বাইকের ব্যাটারি ভালো রাখা যায় আর কোন কোন কাজ করলে বাইকের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে তা নিয়েই আজকের আলোচনা। চেস্টা করবো ব্যাটারি ভালো রাখার জন্যকিছু টিপস দেওয়ার।আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
১। হেডলাইট জ্বালানো অবস্থায় সেল্ফ দেবেন না, এতে ব্যাটারিতে প্রচণ্ড চাপ পড়ে । তবে যাদের বাইকে AHO বা অটোমেটিক হেডলাইট অন অপশনটি আছে তারা কি করবেন? যদি দেখেন ইঞ্জিন স্টার্ট করার পর হেডলাইট অন হয় তাহলে চিন্তার কিছু নেই। ব্যাটারির ওপর চাপ পড়বে না। তবে যদি শুধুমাত্র চাবি অন করলেই মেইন হেডলাইট জ্বলে উঠে তাহলে এটা আপনার বাইকের ওয়ারিং এর ত্রুটি। এইক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা সুইচ অথবা সুইচসহ চাপা লাগিয়ে নিবেন যেন হেডলাইট অন অফ করা যায়।
২। বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করার আগে হেডলাইট জ্বালানো থাকলে তা আগে বন্ধ করে নিবেন। আবার বাইক স্টার্ট করার পরে প্রয়োজন মতো হেডলাইট লাইট অন করবেন।
৩। বাইকে অতিরিক্ত লাইট, উচ্চ এম্পিয়ারের হর্ন বা বাড়তি লাইট না লাগানোই ভালো। তবে একান্তই লাগাতে হলে রিলে ব্যবহার করতে পারেন, এতে ওয়ারিং এবং সুইচের ওপর লোড কম পড়বে।
৪। মাসে অন্তত একবার আপনার বাইকের সাথে থাকা লিকুইড সেল ব্যাটারির এসিড লেভেল চেক করুন, লেভেল লো হয়ে গেলে ডিস্টিলড ওয়াটার দিয়ে লেভেল পূর্ণ করে দিন। প্রয়োজন হলে চার্জ করিয়ে নিন।
৫। ব্যাটারি কেনার আগে অবশ্যই ব্যাটারির ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ দেখে নিন, বেশি পুরানো ব্যাটারি কিনবেন না।
৬। বাইকে কিক স্টার্টার থাকলে সকালের প্রথম স্টার্ট টা কিক দিয়ে করার চেষ্টা করুন। কিক না থাকলে সেল্ফ দিয়েই স্টার্ট করবেন।