বিয়ে করবেন!অথচ বিয়ের সঠিক বয়স কত তা জানেন না। এই নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। এবার বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বিয়ে করার সঠিক বয়স জানালেন।
প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদের মধ্যে ‘বিয়ে’ শব্দটি অন্যরকম একটা আকর্ষণ সৃষ্টি করে। কেমন একটা মাদকতা কাজ করে, হৃদয়ে সহজেই শিহরণ জাগায় এই একটা শব্দ। বিয়ে জীবনকে করে সুশৃংখল।
আবার এই বিয়েই জীবনটা করে দিতে পারে এলোমেলো। ভুল মানুষকে নির্বাচন করে আফসোস করতে হতে পারে সারা জীবন। নির্বাচন করতে হবে সঠিক মানুষকে।
পাশাপাশি বিয়ে হতে হবে সঠিক সময়। তাহলে কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত? জীবনের কোন পর্যায়ে থাকলে বিয়ে করার সময়টাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়? বিয়ের সেরা সময় কোনটা?
শুধু বয়স নয়, বিয়ের প্রসঙ্গ আসলে এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আরও কিছু ব্যাপার। যিনি বিয়ে করবেন, সেই ছেলে বা মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না, নিজেকে উপযুক্ত ভাবছেন কি না, এমন ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক অনেক বিষয় কাজ করে। আবার বেশি বেশি ভাবতে গিয়ে অনেকের সঠিক সময়ে বিয়েটাই করা হয়না।
যাই হোক নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করা উচিত। যে বয়সে সংসার দায়িত্ব নেওয়া, স্থির চিত্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা যায়। কিংবা জীবনটাকে গুছিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়।
হ্যা, বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বলছেন বিয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ সময় ২৮ থেকে ৩০ বছর।
এই বয়সটাতেই কোনো ব্যক্তির সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর পক্ষে সঠিক যুক্তি খুঁজে পায় মানুষ। এই বয়সেই পরিণতবোধ আসে। তারুণ্যের অস্থিরতা কাটতে থাকে।
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জীবনের এ পর্যায়ে এসে বুঝতে পারে, আসলেই এ মানুষটা তার যোগ্য কি না। কর্মজীবনেও এই বয়সে এসে স্থিতি আসে মানুষের জীবনে।
তাই ২৮ থেকে ৩২ বছর বয়সের মধ্যেই বিয়েটা করা ভালো। সন্তান নেওয়া ও তাকে একটা পর্যায় পর্যন্ত অভিভাবকের ছায়া দেওয়ার জন্যও ভালো সময় পাওয়া যায়।
তবে জীবনে অতীতে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। অনেকে প্রতারণার ঘটনায় বিয়েতে বিতৃষ্ণায় ভুগতে পারেন। যদি এ ধরনের ঘটনা জীবনে থাকে, তবে বাস্তববাদী ও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতে হবে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঘাত আসতে পারে। অতীতের কষ্ট ভুলে নতুন সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।