ব্রিটিশ মডেল-অভিনেতা জ্যাসন শাহ। বলিউড ও তামিল-তেলেগু ভাষার বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ তাকে ‘হীরামান্ডি: ডায়মন্ড বাজার’ ওয়েব সিরিজে দেখা গেছে। কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে হাজির হন। এ আলাপচারিতায় জানান— নারী ও সেক্সে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
পডকাস্ট সঞ্চালনা করেন ভারতীয় অভিনেতা ও রেডিও জকি শারদুল পণ্ডিত। এতে অভিনেতা জ্যাসন শাহ বলেন, “মদ ছিল। আমি প্রতিদিন আড়াই প্যাকেট সিগারেট খেতাম। অবশ্যই বলতে পারি, আমি নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। এটি যৌন আসক্তি ছিল; যা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমার মনে হয়, আমি যা যা ত্যাগ করেছি, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। এটা সহজ ছিল না, ভীষণ কঠিন ছিল। কারণ আপনাকে ‘না’ বলতে হবে।”
এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনা বর্ণনা করে জ্যাসন শাহ বলেন, ‘আমি আমার এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলাম, বরাবরের মতো একটি মেয়েকে চলে যেতে দেখছিলাম। তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমার খারাপ লাগছিল। সত্যি বলতে, আমি লজ্জা অনুভব করছিলাম, অপরাধবোধ হচ্ছিল। নিজেকে নিঃস্ব লাগছিল। আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে, জীবনের আরো অনেক উদ্দেশ্য আছে। আমি উপলদ্ধি করি, খ্যাতি এবং টাকাই সবকিছু নয়। কারণ তারা কিছু মুহূর্তের জন্য আসে, তারপর চলে যাবে।’
এখন আবেগতাড়িত হয়ে সম্পর্কে জড়াতে চান না জ্যাসন। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিয়ে না করে আর সেক্স নয়।’
আবেগ খুব ভয়ঙ্কর বিষয়, এই উপলদ্ধির কথা জানিয়ে জ্যাসন শাহ বলেন, ‘আপনি যখন একজন নারীর সঙ্গে সেক্সুয়াল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তখন আপনারা দুজনে আবেগঘনভাবে জড়িয়ে পড়েন, সেখানে যুক্তি জানালা দিয়ে পালায়। আপনি সম্পর্কটাকেই আবেগের উপর নির্ভর করে তৈরি করেছেন। এই অনুভূতি খুবই বিপজ্জনক। আবেগ হলো অনুভূতি, যা খুব কঠিন হতে পারে।’
ভারতের জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো বিগ বস। এ প্রতিযোগিতার দশম আসরে অংশ নেন জ্যাসন শাহ। এরপর ভারতীয় টিভি সিরিয়ালে নাম লেখান। ২০১৬ সালে ‘ফিতুর’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জ্যাসন। এরপর ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হলো— সালার, মিশন: চ্যাপ্টার-১, আগস্ট ১৬ ১৯৪৭ প্রভৃতি।