২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির পর অধিনায়কত্ব নিয়ে কম নাটক হয়নি। বাবর আজমের জায়গায় নতুন দুইজনকে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বভার তুলে দিয়েছিল পিসিবি। টি-টোয়েন্টিতে ম্যান ইন গ্রিনদের নেতা হিসেবে শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শাহিন শাহ আফ্রিদির অধিনায়কত্ব অধ্যায়।
পাকিস্তানকে মাত্র একটি সিরিজে নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন কেবল, তাকে সরিয়ে আর্মব্যান্ড দেওয়া হয় বাবর আজমের হাতে। এক সিরিজ পরই শাহিনকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভালো লাগেনি সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই।
এবার আবারও অধিনায়কত্ব নিয়ে সরব হলেন শহীদ আফ্রিদি। পরপর দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় শঙ্কায় পাকিস্তান। আমেরিকার কাছে হারের পরই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। ভারতের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য ৬ রানের হারের পর স্বভাবতই তোপ দাগছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরাও। সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির চোখে কি খলনায়ক অধিনায়ক বাবর আজমই।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এই পাকিস্তান অলরাউন্ডার বলছেন, ‘একজন অধিনায়ক দলের সবাইকে এক সূত্রে বাঁধতে পারে। আবার সে দলের পরিবেশ নষ্টও করে দিতে পারে। বিশ্বকাপ শেষ হোক। খোলাখুলিভাবেই সব বলব।’
শহীদ আফ্রিদি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি সম্পর্কে জামাই শ্বশুর। সাবেক ও বর্তমান দুই তারকার পারিবারিক সম্পর্কের কারণে মাঝে মাঝে বিপত্তিতেই পড়তে হয় শহিদ আফ্রিদিকে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শাহিনের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক আছে। ওর সম্পর্কে কিছু বললেই সবাই বলে আমি নিজের জামাইয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি।
পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেছেন আরেক কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরামও। বিশেষ করে বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদির মধ্যে নেতৃত্ব কেন্দ্র করে যে টানাপড়েনের গুঞ্জন শোনা যায়, সেটি উঠে এসেছে আকরামের কথাতেও, ‘খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আর আপনি দেশের হয়ে খেলছেন। এ ধরনের খেলোয়াড়দের দেশে বসিয়ে রাখুন।’