যারা হতে ঘড়ির পরার শখ রাখেন তারাই একমাত্র জানেন যে ঘড়ির ভ্যালু কি হয়। আর এই কারণে কাপড়ের থেকে বেশি দামে বিক্রি হয় লাক্সারি ঘড়ি। এই ঘড়ি গুলিকে ইনভেস্টমেন্ট হিসেবেও দেখা হয়। আবার কোনো কোনো ঘড়ি জুয়েলারি হিসেবেও তৈরি করা হয়। এই সব ঘড়ি গুলির দাম হাজার বা লাখ নয় বরং কোটি কোটি টাকা হয়। তাই আজ আমরা এই সেটিকেলে আপনাকে ৮ টি লাক্সারি ঘড়ির (Luxury wrist watch) বিষয় জানাবো। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এই লিস্টে যেই ঘড়িটির দাম সবচেয়ে কম সেটি আপনি ১০০ কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না কারণ সেটির দাম ১০০ কোটির থেকেও বেশি।
১) হ্যালুসিনেশন(Hallucination): বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হল গ্রাফ ডায়মন্ডসের হ্যালুসিনেশন নামক ঘড়িটি। এতে বিভিন্ন রং ও কাটের ১১০ ক্যারেটের হীরা রয়েছে। এটি একটি প্ল্যাটিনাম ব্রেসলেটে শোভিত। ২০১৪ সালে লঞ্চ হওয়া এই ঘড়িটির দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৫৫ কোটি টাকা)।
২) দ্যা ফ্যাসিনেশন(The Fascination): এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডসের দ্যা ফ্যাশিনেশন নামক ঘড়িটি। এই ঘড়িটির দাম হলো ৪ কোটি টাকা। এই ঘড়িতে ১৫২.৯৬ ক্যারেটের সাদা হীরা খোদাই করা রয়েছে। এটি তৈরি করা হয়েছিল ২০১৫ সালে।
৩) পাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার কাইম(Patek Philippe Grandmaster Chime): তিন নম্বরে আছেন পাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার কাইম। এর দাম ৩.১ মিলিয়ন ডলার। এটির সামনে এবং পিছনে উভয় দিকেই ডায়াল রয়েছে। এই কোম্পানির বিক্রি করা সবচেয়ে দামি ঘড়ি এটি। এটি ২০১৯ সালে নির্মিত হয়েছিল।
৪)ব্রেগুয়েট গ্র্যান্ডে কম্প্লিকেশন মারি অ্যান্টোইনেট(Breguet Grande Complication Marie Antoinette): বিশ্বের চতুর্থ সবচেয়ে দামি ঘড়ি হল Breguet Grande Complication Marie Antoinette। এর দাম ৩ মিলিয়ন ডলার। এটি একটি প্রাচীন ঘড়ি। এটি তৈরি করতে প্রায় ৪০ বছর সময় লেগেছিল। এটি ১৮২৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং এটি ১৯০০ সালে চুরি হয়ে গেছিল। এখন এটি একটি জাদুঘরে নিরাপদ রাখা রয়েছে।
৫) Jaeger-LeCoultre Joaillerie 101 Manchette: পঞ্চম সবচেয়ে দামি ঘড়ি হল Jaeger-LeCoultre Joaillerie 101 Manchette। এর দাম ২৬ মিলিয়ন ডলার। এটি বিশেষভাবে যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি ২০১২ সালে নির্মিত হয়েছিল।
৬) হেনরি গ্রেভস সুপার কমপ্লিকেশন(Henry Graves Supercomplication): ষষ্ঠ তম সবচেয়ে দামি ঘড়ি পাটেক ফিলিপের হেনরি গ্রেভস সুপার কমপ্লিকেশন। এর খরচ ২৬ মিলিয়ন ডলার। এই ঘড়িটি ১৯৩৩ সালে তৈরি হয়েছিল। এটি তৈরি করতে প্রায় ৭ বছর সময় লেগেছে।
৭) চোপার্ড 201-ক্যারেট(Chopard 201-Carat): বিশ্বের সপ্তম সবচেয়ে দামি ঘড়ি হল চোপার্ড ২০১-ক্যারেট। এর খরচ আড়াই মিলিয়ন ডলার। এতে ৮৪৭ টি হীরা খোদাই করা রয়েছে যা মোট ২০১ ক্যারেট। এটি ২০০০সালে নির্মিত হয়েছিল।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%95%e0%a6%ae-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%9b%e0%a7%8b%e0%a6%9f-%e0%a6%87%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a1/
৮) পল নিউম্যান ডেটোনার(Paul Newman Daytona): অষ্টম সবচেয়ে দামি ঘড়ির শিরোপা রয়েছে রোলেক্সের কাছে। কোম্পানির পল নিউম্যান ডেটোনার দাম $১৮.৭ মিলিয়ন। এটি ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয়েছিল।