ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায় গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণে লাখ লাখ পুণ্যার্থী সাগরে পুণ্যস্নান সারেন। এবার রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হয়েছিল গঙ্গাসাগরে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ১ কোটি লোকের সমাগম হয়েছিল মেলায়।
সাধারণ পুণ্যার্থীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নেতা-মন্ত্রীরাও পুণ্যস্নান সেরেছেন সাগরে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের জনসমাগম। এতদিন লাখের মধ্যেই থাকত পুণ্যার্থীর সংখ্যা। এবার প্রথম তা কোটিতে পৌঁছেছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে শুরু হয়েছিল সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। এসময়ে স্নানের জন্য গঙ্গাসাগরে বিড় করেন পুণ্যার্থীরা।
কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশা উপেক্ষা করে লাখ লাখ মানুষ মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সাগরে পুণ্যস্নান সেরেছেন। পূণ্যস্নাস সেরে সবাই কপিল মুণির আশ্রমে পূজা দেন। রাতভর খোলা ছিল মন্দিরের দরজা। লম্বা লাইন দেখা যায় মন্দিরে পূজা দেওয়ার জন্য।
পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে স্নান সম্পন্ন করতে পারেন তা নজরদারি করার জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা মোতায়েন ছিল। মেলা প্রাঙ্গণে অসংখ্য ছাউনি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। ছিল মেডিকেল ক্যাম্পও। সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে সবরকম ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। করোনা পরীক্ষার সরঞ্জামও ছিল মেলা প্রাঙ্গণে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/bangladeshi-takay/
চব্বিশ পরগনার জেলা শাসক দাবি করেছেন, এ বছরে পুণ্যার্থী সমাগম ১ কোটি পেরিয়ে গেছে। মাত্র সংক্রান্তির দিনেই এ রেকর্ড গড়েছে। মঙ্গলবার থেকে গঙ্গাসাগরে আসতে শুরু করেছিলেন পুণ্যার্থীরা, সেই সংখ্যা ধরলে আরও বাড়বে পরিসংখ্যান। যদিও এখনো সম্পূর্ণ তথ্য জেলা শাসক হাতে পাননি।