প্রকৃতি কন্যা সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাচুর্যে ভরপুর সিলেটের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটনকেন্দ্র। সবুজে মোড়া পাহাড়ের কোলঘেঁষা পাথুরে নদী, ঝরনা, বন, চা-বাগান, নীল জলরাশির হাওর; কী নেই এখানে। সিলেটের এমন অপরূপ বৈচিত্র্যে মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীরা। একারণেই প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
চলুন জেনে নেয়া যাক সিলেটের সেরা ১০টি পর্যটনকেন্দ্র সম্পর্কে-
রাংপানি
সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোর নামের সঙ্গে একেবারে নতুন যোগ হয়েছে এ স্থানটি। পাহাড়-ঝরনা আর সাদা পাথরের মিতালি। যাওয়ার পথে উভয় পাশে সুপারি বাগান আর উঁচু-নিচু পথ। সব মিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক জায়গার নাম রাংপানি। নতুন এই পর্যটনকেন্দ্রটির অবস্থান সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি এলাকায়। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরত্বের এই জায়গাটিতে যেতে হলে ব্যক্তিগত যানবাহন কিংবা জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায়
নামলেই হেঁটে মাত্র অর্ধকিলোমিটার এগোলেই দেখা মিলবে স্থানটির। মোকামপুঞ্জি প্রবেশমুখ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে গাইড নিয়ে যেতে পারবেন। সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তাও থাকবে।
হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার
হরিকেল রাজত্বের মূল ভূখণ্ড ছিল এই সিলেট। ১৪০০ শতকের দিকে এই অঞ্চলে ইসলামি প্রভাব দেখা যায় সুফি দার্শনিকদের আগমনের মাধ্যমে। ১৩০৩ সালে কালৈতিহাসিক মুসলিম ধর্মপ্রচারক হজরত শাহ জালাল (রহ.)-এর আবির্ভাব ঘটে এই সময়ে। তার দরগাহ সিলেটের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র চৌহাট্টা এলাকায় হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার অবস্থিত। মাজারে রয়েছে একটি বড় পুকুর। যেখানে বিশালাকৃতির গজার মাছ রয়েছে। যা দর্শনার্থীদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য কবুতর। বিশেষ প্রজাতির এ কবুতর পর্যটকদের নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। এই শাহজালালের মাজারেই রয়েছে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র কবর। এছাড়াও এখানে দেশের অসংখ্য খ্যাতিনামা ব্যক্তিদের কবর রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান শাহজালালের মাজারে।
জাফলং
প্রকৃতি কন্যা হিসেবে সারা দেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। সিলেট ভ্রমণে যাবেন অথচ জাফলং যাবেন না, তা কি হয়? খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়।
সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম ধারায় প্রবহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানি, উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য যে কাউকেই বিমোহিত করে। সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলংয়ের অবস্থান। জাফলংয়ে শীত ও বর্ষা মৌসুমের সৌন্দর্যের রূপ ভিন্ন। কয়েক হাজার ফুট ওপর থেকে নেমে আসা সফেদ ঝরনাধারার দৃশ্য যে কারোরই নয়ন জুড়ায়। সিলেট থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে পারেন জাফলং। সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
সাদাপাথর
চারপাশে ছড়িয়ে আছে সাদা পাথর। মনে হয় যেন, প্রকৃতি শুভ্র বিছানা বিছিয়ে রেখেছে। মাঝখানে স্বচ্ছ নীল পানি। চারদিকে ঘিরে আছে ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়। তার উপরে যেন আছড়ে পড়েছে মেঘ। এ ছাড়াও চারপাশে আছে সবুজ প্রকৃতি। সব মিলিয়ে প্রকৃতির যেন অপরূপ এক স্বর্গরাজ্য। দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা এই অপূর্ব স্থানটি উপভোগের জন্য ছুটে আসে সাদা পাথরের দেশে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান। সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ অবস্থিত। আর সেখানেই আছে সাদা পাথরের স্বর্গরাজ্য। ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে ‘সাদা পাথর’ নামক স্থানটি।
দেশের যেখান থেকেই ভোলাগঞ্জ যেতে চান আপনাকে প্রথমে সিলেট শহরে আসতে হবে। সিলেট থেকে বিআরটিসি বাস, বাস, সিএনজি, লেগুনা বা প্রাইভেট কারে করে যাওয়া যায় ভোলাগঞ্জ। বর্তমানে ভোলাগঞ্জ যাওয়ার রাস্তার অবস্থা খুবই ভালো।
লালাখাল
লালাখাল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার একটি পর্যটন এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান। লালাখালের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গোয়াইন নদী। সেই নদীতে অসংখ্য বাঁক রয়েছে। নদীটির ক‚লে পাহাড়ি বন, চা বাগান এবং নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজি রয়েছে। লালাখালের পানি নীল। জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং কাদার পরিবর্তে নদীর বালুময় তলদেশের কারণেই এই নদীর পানির রং এরকম দেখায়।
রাতারগুল
জলাবন রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি। সারা পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশে আছে দুটি। একটি শ্রীলঙ্কায় আরেকটি বাংলাদেশের রাতারগুল। সুন্দর বিশাল এ বনের তুলনা চলে একমাত্র অ্যামাজনের সঙ্গে। অ্যামাজনের মতো এখানকার গাছ বছরে চার থেকে সাত মাস পানির নিচে থাকে। এই বন মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ বনবিভাগ, বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের জলসহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে।
এ ছাড়া জলমগ্ন এই বনে রয়েছে হিজল, করচ আর বরুণ গাছ, আছে পিঠালি, অর্জুন, ছাতিম, গুটি জাম, আছে বট গাছও। এই বনে সাপের আবাস অনেক বেশি। এ ছাড়া রয়েছে বানর, গুঁইসাপ, সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি। হিজল গাছের সারি ডুবে আছে পানিতে। তার ফাঁক দিয়ে নৌকায় চলাচল করার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এই জলাবনে গেলে। ইঞ্জিন ছাড়া বৈঠা বাওয়া নৌকা দিয়ে এ বনে প্রবেশ করতে হয়। হরেক রকম পাখিরও দেখা পাবেন সেখানে। বনের মধ্যে একটি (ঝুঁকিপূর্ণ) ওয়াচ টাওয়ার আছে সেখানে উঠে ওপর থেকে বনটা দেখতে পারবেন। সিলেট শহরের যেকোনো জায়গা থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে রাতারগুল যাওয়া যাবে।
বিছানাকান্দি
বিছানাকান্দি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এটি মূলত একটি পাথর কোয়েরি; যেখানে নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়। এই জায়গায় মেঘালয় পর্বতের বিভিন্ন স্তর এসে একবিন্দুতে মিলিত হয়েছে। মেঘালয় পর্বত থেকে নেমে আসা একটি ঝরনা এখানে একটি হ্রদের সৃষ্টি করেছে- যা পিয়াইন নদীর সাথে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। এখানকার শিলা-পাথরগুলো একদম প্রাকৃতিক এবং এগুলো পাহাড়ি ঢলের সাথে পানির মাধ্যমে নেমে আসে। যেখানে ছোট-বড় পাথরের শয্যা পাতা! এর ওপর দিয়ে কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ পানি। দেহমন প্রশান্ত করতে পর্যটকেরা শরীর এলিয়ে দেন সেই শয্যায় কিংবা মেতে ওঠেন জলকেলিতে। একবার শরীর এলিয়ে দিলে আর উঠতে ইচ্ছে করে না।
লোভাছড়া
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তের বড় বড় সবুজ পাহাড় ছুঁয়ে নেমেছে ঝর্ণা। আর ঝাঁপিয়ে পড়ছে বাংলাদেশের সীমান্তে। চারদিকে সবুজ বেষ্টিত চা-বাগান, সারি সারি গাছ, পাহাড় আর বালি সমৃদ্ধ স্বচ্ছ পানির বহমান নদী। অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনন্য রূপ হচ্ছে লোভাছড়া।
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি। স্রোতের ছলাৎ-ছলাৎ শব্দ। স্বচ্ছ নীলাকাশে সাদা বক আর বিভিন্ন পাখির ওড়াউড়ি। আর মাঝে-মধ্যে মাঝির কণ্ঠে মুর্শিদী বা সিলেটের আঞ্চলিক গান। দারুণ পরিবেশ সৃষ্টি হয় শীতের লোভাছড়ায়। সিলেটের কানাইঘাট থেকে সুরমার বুক চিরে লোভারমুখ বা ভারত সীমান্তের জিরোপয়েন্টে যেতে নৌকায় ঢেউয়ের তালে তালে দু’ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন লোভাছড়া চা-বাগানের কাছের জিরো পয়েন্টের পাথর কোয়ারির কাছে। কানাইঘাট লঞ্চঘাট থেকে লোভারমুখ বা পাথর কোয়ারি পর্যন্ত নৌকা চলাচল করে নিয়মিত। কেউ ইচ্ছা করলে নৌকা রিজার্ভ করতে পারেন নৈসর্গিক লোভাছড়া যাওয়ার জন্য।
উৎমা ছড়া
দুপাশে জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে পাথরের উপর বয়ে যাচ্ছে সাঁইসাঁই শব্দে পানির তীব্র স্রোত। বিছনাকান্দি কিংবা সাদাপাথর থেকে পানির পরিসর এখানে কম কিন্তু সৌন্দর্য কোনো অংশে কম না। অন্যরকম একটা পরিবেশ এখানে। চারপাশ এতো নির্জন মানুষহীন যে পানির প্রতিটা শব্দ হৃদয়ে লাগে। এ নৈসর্গিক স্থানটি সিলেটের উৎমা ছড়া। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এ স্থানটির অবস্থান। ভোলাগঞ্জ থেকে উৎমা-ছড়া যাওয়ার পথে নদী পার হতে হবে। নদী পেরোলেই দয়ার বাজার। সেখান থেকে উৎমা-ছড়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া একেক জনের পড়বে ৩০ টাকা।
পান্তুমাই
ভারত সীমান্তে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে সিলেটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের গ্রাম পানতুমাই, একে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বলা হয়। পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তা পানতুমাই গ্রামের বৈশিষ্ট্য। গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর মতোই লীলায়িত ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে ঝর্ণার জলরাশি। দেখলে মনে হবে সবুজের বুকে কেউ হয়তো বিছিয়ে রেখেছে সাদা শাড়ি।
পাহাড়ি স্বচ্ছ জলের ছড়া পাড়ি দিয়ে গাঁয়ের মেঠো পথ, বাঁশ বাগান, হাঁটুজলের নদী পার হয়ে প্রতাপপুর গ্রাম। এরপরের গ্রাম পান্তুমাই। প্রতাপপুর গ্রাম পাড়ি দিয়ে সামনে উঁচু পাহাড় ঘেঁষে বিশালাকার এক ফুটবল মাঠ পাওয়া যায়।
মাঠ পেরিয়ে কিছুটা জঙ্গল। জঙ্গলের কিছুটা এগোলেই শোনা যায় জল গড়িয়ে পড়ার শব্দ। জঙ্গলের মাঝখানে উঁকি দিচ্ছে রূপবতী ঝর্ণা পান্তুমাই । বড় বড় পাথরের গাঁ বেয়ে অনেক উঁচু থেকে ইংরেজি এস অক্ষরের মতো। স্থানীয়রা ঝর্ণাটিকে ফাটাছড়ির ঝর্ণা বা বড়হিল ঝর্ণাও বলেন। সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন গোয়াইনঘাট থানা সংলগ্ন বাজারে। ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা । সেখান থেকে আরেকটি সিএনজি-তে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই বা পানতুমাই যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
পানতুমাইয়ে কোনো খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্থা নেই সুতরাং শুকনা খাবার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে । রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে থাকতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনার ২০০-৩০০ টাকা ব্যয় হতে পারে ।
সিলেট যাবেন যেভাবে
রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে সিলেটে যাওয়া যায়। আকাশপথে প্রতিদিন কয়েকটি ফ্লাইট চলাচল করে। সড়কপথে এনা, হানিফ, শ্যামলী, গ্রীনলাইন পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি পরিবহণ ঢাকা থেকে সিলেটে যাতায়াত করে। ভাড়া নন এসি ৪৭০ টাকা, এসি ১২০০ টাকা। প্রতিদিন কয়েকটি ট্রেনও যায়। এর মধ্যে উপবন এক্সপ্রেস, পারাবাত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা ও কালনী এক্সপ্রেস অন্যতম। ভাড়া এসি চেয়ার স্নিগ্ধা ৬৩০ টাকা। এসি কেবিন ১১৪৯ টাকা। চেয়ার ৩২০ টাকা।
সিলেটে থাকবেন কোথায়
কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়; বরং নানান বিলাসবহুল ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রিসোর্ট আর হোটেলের জন্যও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিলেট। এ জন্যই কর্মক্লান্ত শহরের বাসিন্দারা কোলাহলমুক্ত এই চায়ের রাজ্যে ছুটে আসেন। দেশের অন্যতম বিলাসবহুল রিসোর্টগুলোর সিংহভাগ সিলেটে অবস্থিত। এর মধ্যে পাঁচ তারকা রোজ ভিউ হোটেল, গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল, গ্র্যান্ড প্যালেস। এ ছাড়া
আছে আধুনিক ও উন্নত সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন হোটেল গার্ডেন ইন, হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড, লা ভিস্তা হোটেল, হোটেল স্টার প্যাসিফিক, হোটেল মিরা গার্ডেনসহ আরও অনেক হোটেল। এর বাইরে অল্প খরচে থাকা যেতে পারে বিভিন্ন হোটেলে। হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে ৫০০-১০০০ টাকায় রুম ভাড়া করে থাকা যেতে পারে।
কোথায় খাবেন
নামিদামি হোটেলের ভেতরেই রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। তবে হোটেলের বাহিরে কম টাকায় খেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে জিন্দাবাজার এলাকায়। সেখানে রয়েছে পাঁচভাই, পানসি ও ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট। এখানে অল্প টাকায় সব ধরনের খাবার খেতে পারবেন। সিলেটের আঞ্চলিক সব খাবার এসব রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হয়।