গুরুতর অসুস্থ হয়ে দুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ছাড়া পেয়ে বাসায় ফেরেন মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে আগের চেয়ে বেশ ভালো আছেন তিনি। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই বড় চমক দিলেন এই অভিনেতা।
গণমাধ্যমে নিজের অসুস্থতার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন মিঠুন। এ সময় তিনি জানান— চলতি বছর ভারতের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হবেন না তিনি।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভীষণ খোশমেজাজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিঠুন। রাজনৈতিক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে না গিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি।
তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতোই এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটেও বিজেপির হয়ে প্রচার করতে দেখা যাবে মিঠুনকে। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, আগামী ১ তারিখ থেকে লাগাতার প্রচার শুরু করব। একাধারে বাংলায় প্রচারের পাশাপাশি অন্য কোনো রাজ্যেও যদি যেতে হয়, তাহলেও যাব।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়েও ভীষণ খুশি হয়েছিলেন জানিয়ে মিঠুন বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে খুব শ্রদ্ধা করি আমি। পাশাপাশি গণমাধ্যমে তৃণমূলের তারকা সংসদ তথা সহ-অভিনেতা দেবের প্রশংসা করতেও ভোলেননি এই অভিনেতা।
জানা গেছে, মিঠুনকে দেখতে নাকি হাসপাতালেও দেখতে গিয়েছিলেন দেব। সেই প্রসঙ্গে টেনে অভিনেতা বলেন, দেব খুব ভালো ছেলে। অত্যন্ত বুদ্ধিমান। ঠিক যেসময়ে দেবকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়, তখনই এই অভিনেতাকে ‘গুড বয়’ সার্টিফিকেট দিলেন মিঠুন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিঠুনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোবিজ থেকে শুরু করে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে রাজনৈতিকমহলও। রাজনৈতিক মতাদর্শ, রং সমস্ত কিছু দূরে সরিয়ে রেখে গত দুদিনে তাকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ও বিধায়করাও।
সেই তালিকায় রয়েছেন— দেবশ্রী রায়, দেব, সোহম চক্রবর্তীরা রয়েছেন। এমনকি খোঁজ নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। একসময়ে তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেছেন মিঠুন। তবে একুশের বিধানসভা ভোটেই বদলে যায় সেই সমীকরণ।