চলচ্চিত্র শিল্প যে কোন দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সুস্থধারার শিল্পগুণসমৃদ্ধ ও মানসম্মত চলচ্চিত্র যেমন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে ভূমিকা রাখে তেমনি দেশকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে । শুধু তাই নয়, বর্তমান যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় থেকে ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠুধারার চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা চলচ্চিত্র যেমন একটি সর্বজন গ্রহনযোগ্য শক্তিশালী বিনোদন মাধ্যম তেমনি ভালো চলচ্চিত্র মানুষের সুকামার বৃত্তিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। শিক্ষামুলক চলচ্চিত্র চরিত্র গঠনেও রাখতে পারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। তাই দেশে মানসম্মত ও রুচিসম্মত চলচ্চিত্র নির্মিত হলে ক্রমশ ভালো সিনেমা দেখার দর্শকও তৈরি হবে। চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালকসহ সিনেমা শিল্পের সাথে জড়িত সব কলাকুশলী আর্থিক লাভবান হবেন।
২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৫৮টি দেশের ২১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এর মধ্যে পূর্নদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ১২২টি, স্বল্পদৈর্ঘ ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৯৬টি। ১৯৯২সালে প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার শুভেচছা বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সব মানবিক অনুভূতি উঠে আসে। একটি ভালো চলচ্চিত্র একজন মানুষ ও সমাজকে বদলে দিতে পারে। মানুষের জন্য কাজ করতেও অনুপ্রাণিত করে। সাহিত্যনির্ভর যেসব চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে সারা বিশ্বে সেগুলোতে যোগ হয়েছে ভিন্নতর একটি মাত্রা। এটি ঠিক যে চলচ্চিত্র এমন একটি মাধ্যম যা সংগ্রহ ও সমন্বয় করে নেয় শিল্প সাহিত্যের প্রায় সব শাখাই। বাস্তব জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক সংকট ও টানাপোড়েন ভুলে দু-আড়াই ঘন্টার জন্য হাসি-কান্না আর নাটকীয়তায় পূর্ণ নাচে-গানে ভরপুর ছায়াছবি খেঁটেখাওয়া মানুষকে আমাদের পাশাপাশি এক ধরনের জীবনশক্তিও দান করে থাকে। স্বাভাবিক সুস্থ চিত্তবিনোদনের অভাবে একজন মানুষ মনোবৈকল্যের শিকার হতে পারে বলে আধুনিক মনোবিজ্ঞান সতর্ক করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে প্রধানত তিন ধরনের চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। যেমন- (ক) বাণিজ্যিক ছবি (খ) আর্ট ও (গ) বিকল্প ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র । বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের মোটামুটি পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ২০০০ এর বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এই ইন্ডাসিট্র থেকে। (২)। ‘গেরিলা’ ছবিটির পরিচালক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি নিজে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সফল নাট্যব্যক্তিত্ব। তাঁর ‘গেরিলা’ ছবিটি ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ মোট ছয়টি পুরুস্কার জিতে নেয়। এই ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের সবটুকু উঠে না এলেও যুদ্ধকালীন রণাঙ্গনের কিছু দৃশ্য এবং পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মমতা যেভাবে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশে নির্মিত অন্য কোন চলচ্চিত্রে তা খুব কম দেখা গেছে। পাক-সেনাসদস্যের ভূমিকায় শতাব্দী ওয়াদুদ যেমন ভালো অভিনয় করেছেন তেমনি তিনি জিতে নিয়েছেন শ্রেষ্ঠ খলনায়কের পুরুস্কার। নায়িকার ভূমিকায় জয়া আহসান পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর সম্মান।
ষাট-সত্তরের দশকে বাংলা সিনেমার কী এক সুবর্ণ সময় ছিল। ঢাকার গুলিস্তান হলে বাংলা আর ওপর তলার নাজে ইংরেজি সিনেমা দেখার মধুর স্মৃতি এখন অনেকেরই হৃদয়পটে আঁকা আছে। সেকালে চলচ্চিত্র শিল্পের কারিগরি মান তেমন উন্নত না হলেও সুস্থ ধারার অনেক ছায়াছবি নির্মিত হয়েছে। প্রয়াত জহির রায়হান এবং আলমগীর কবীর বেশ কিছু ক্লাসিক্যাল ছবি তৈরি করে দেশে বিদেশে সম্মান কুড়িয়েছেন, জয় করেছেন দর্শক হৃদয়। রাজ্জাক, হাসান ইমাম, আনোয়ার হোসেন, কবরী, সূচন্দা, ববিতার মতো শিল্পীরা অভিনয় প্রতিভার কম স্বাক্ষর রাখেননি। সত্যজিৎ রায়ও ববিতাকে দিয়ে ‘অশনি সংকেত’-এর মতো ছায়াছবি বানাতে সাহস করেছিলেন। এসব ছায়াছবি, অভিনেতা-অভিনেত্রীর কথা এ দেশের দর্শক আজো ভোলেনি। এরপর কেটে গেছে অনেক সময়। বর্তমান সময়ের ‘মাটির ময়না’, ‘জয়যাত্রার’ মতো ছবি এদেশে তৈরি হয়েছে। তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলামের মতো বেশ কজন শর্টফিল্ম নির্মাতা তাদের কর্মে দেশে বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন, সম্মান কুড়িয়েছেন। বিশেষ শৈল্পিক গুণের অধিকারী অকালপ্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ তো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
‘জীবন থেকে নেয়া ’(১৯৭০), ‘হীরক রাজার দেশে’ (১৯৮০) বা সম্প্রতি তৈরি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ (২০১২) প্রভৃতি ছবিতে যেভাবে রূপকধর্মী কাহিনীর মাধ্যমে রাজনৈতিক সমালোচনা তুলে ধরা হয়েছে, তেমন বুদ্ধিদীপ্ত চেষ্টাও বাংলাদেশের চিন্তাশীল ছবির জগতে চোখে পড়ে না ফলে আমাদের দেশে বাণিজ্যিক লাভ নিশ্চিত করবে এমন বিনোদননির্ভর ছবি তৈরির আগ্রহ আমরা বেশি দেখতে পাচিছ। আর প্রচারও যখন আকর্ষণীয় হয় তখন এমন ছবি দেখতে যায় বহু মানুষ। কিন্তু মূলত বিনোদন প্রদানের কারণে এই ধরনের চলচ্চিত্র দর্শকের সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারেনা বরং এমন চলচ্চিত্র সমাজে বিদ্যমান অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদ করতে সচেতন হওয়ার প্রয়েজানীয়তা থেকে দর্শকদের মনোযোগ সরিয়ে দেয় হালকা বিনোদনের দিকে।
বক্তব্য আর নির্মানশৈলির দিক দিয়ে চিন্তাশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্রের কথা বলতে হলে আলমগীর কবিরের ‘ধীরে বহে মেঘনা’ (১৯৭৩) আর রূপালী সৈকতে (১৯৭৮), মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলীর ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ (১৯৭৯), তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ (২০০২) এবং হাতেগোনা আর কয়েকটি চলচ্চিত্রের নামই কেবল উল্লেখ করা যায়।আশির দশকে এদেশে স্বল্পদৈর্ঘের বক্তব্যধর্মী ছবি তৈরির একটি চর্চা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ফ্রান্স, ব্রাজিল, ভারত, আর্জেন্টিনা, ইরান, জার্মানি, জাপান, কিউবা প্রভৃতি দেশে যেভাবে বিনোদনধর্মী ছবির বাঁধাধরা পদ্ধতি সম্পূর্ন প্রত্যখ্যান করে প্রথাবিরোধী নতুন ধারার পূর্ন্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মান শুরু হয়েছিল সেভাবে নতুন চলচ্চিত্রের আন্দোলন বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাইনি।
বাংলাদেশের কিছু ছবি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। কুড়িয়ে আনছে সম্মান। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের নায়ক-নায়িকা, ছবির কলাকুশলীরা হচ্ছেন পুরস্কৃত, সংবর্ধিত। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মানে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়া জরুরি। প্রয়াত জহির রায়হান ও আলমগীর কবীরের মতো চলচ্চিত্রকার চলচ্চিত্র নির্মানে যে ধারা শুরু করেছিলেন তার পথ ধরে বর্তমান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এগিয়ে যেতে হবে। অশ্লীল ছায়াছবি নির্মান ও ভিডিও পাইরেসি বন্ধ করতে সবার একাত্ম হতে হবে। শিল্পমান সম্পন্ন সুস্থধারার ছায়াছবি তৈরি করতে শিল্প-সাহিত্য সংশ্লিষ্টদের হতে হবে অঙ্গীকারবন্ধ। দেশের শিশু কিশোরদের চরিত্র গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষামূলক শিশুতোষ ছায়াছবি নির্মানে তৎপর হতে হবে। চলচ্চিত্র যে শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান বলিষ্ঠ মাধ্যম তা ছায়াছবি নির্মানের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। এফডিসি ও ফিল্ম সেন্সর বোর্ডকে এ ব্যাপারে নিতে হবে বিশেষ দায়িত্বশীল ভূমিকা। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মানে সরকারি সহযোগিতা ও পূষ্ঠপোষকতা বিশেষ জরুরি। এ ক্ষেত্রে সরকারের পর্যাপ্ত অনুদান প্রদান এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় প্রেক্ষাগৃহের টিকিট থেকে বিনোদন কর মওকুফ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
সকল ধরনের বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সংস্কৃতি চর্চার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। পথনাটক, মঞ্চনাটক, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, জারিগান, সারিগান, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নৌকা বাইচ, ঘোড়দৌড় সহ অঞ্চলভেদে হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির উপাদানগুলো পুনরুদ্ধার ও জাগরুক করার প্রশ্নে সকল সচেতন মানুষকে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ পচেষ্টার মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে। যদি আমাদের সংস্কৃতিক উপাদানগুলো সচল ও অনুশীলন করতে পারি তাহলে সমাজ থেকে নানা অনাচার, অবিচার, অন্ধকার, নৈরাজ্য, গুজব দূর হওয়ার পাশাপাশি আলোকিত সমাজ বির্নিমান সম্ভবপর হবে।
অশ্লীল অভিনেতা-অভিনেত্রিদের দাপটে একট সময়ে সিনেমা শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করা শিল্পীদের চাহিদা কমে যাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্রে তেমন জনপ্রিয় শিল্পীদের আর দেখাা যায় না। কেননা একটা পরিস্থিতিতে অশ্লীল সিনেমার জয়জয়কার ছিল, তবে অশ্লীলতা সাময়িক, কিন্তু মানসম্পন্ন সিনেমার চাহিদা চিরকাল থাকে। চটক, চাকচিক্য আর জৌলুসকে প্রাধান্য দিয়ে ছবি তৈরি করা হলে তা হয়তো ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করবে, কিন্তু এমন ফর্মূলা-নির্ভর ছবির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সুপরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে না কারণ চলচ্চিত্র একটি শিল্পমাধ্যম যেখানে নির্মাতা নিজের সৃষ্টিশীলতা ব্যবহার করে শক্তিশালী চলচ্চিত্র-ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন অর্থ নির্মান করেন। ভালো চলচ্চিত্রের মূল্যায়ণে সারা বিশ্বে এই দৃষ্টিভঙ্গিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের দেশে চিন্তা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্রের প্রসার নিশ্চিত করার প্রতি যদি নির্মাতা, দর্শক, গণমাধ্যম, সর্বোপরি রাষ্ট্রের আগ্রহ তৈরি না হয় তাহলে কখনও তা উঁচু শৈল্পিক মান অর্জন করবেনা। চলচ্চিত্রকে সে ক্ষেত্রে কেবল বিনোদন যোগানোর মাধ্যম হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শককে সমাজ সচেতন করে তোলার দায়িত্বটি হবে অবহেলিত।যে মনস্বাত্তিক , সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যার জন্য আমাদের দেশে চিন্তা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্রের প্রতি বহু মানুষের আগ্রহ তৈরি হচ্ছেনা সেই সমস্যাগুলি দূর করার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি-ভালো চলচ্চিত্র এবং উঁচুমানের সাংস্কৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনেই।
বাংলাদেশে এমন বক্তব্যধর্মী, সমাজসচেতন, চিন্তাশীল চলচ্চিত্র কি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নির্মিত হয়? এই ধরনের ছবি তৈরির প্রতি এদেশের পরিচালকদের এবং দেখার দর্শকদের আগ্রই বা কেমন? এখানে এমন ছবি কি সহজে নির্মান করা সম্ভব? বক্তব্যের গভীরতা এবং নির্মাণশৈলীর নান্দনিকতা, এই দুই দিক থেকে আমাদের দেশের বিকল্প এবং স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র কতোটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পেরেছে তা বোঝার জন্য এই প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। কেউ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আধুনিক কিংবা গ্ল্যামার-সর্বস্ব বিনোদনধর্মী ছবিকেই ভালো ছবি বলে মনে করতে পারেন। কিন্তু দামি প্রযুক্তি ব্যবহার করলেই কোন ছবির মান বেড়ে যাবে এমন মনে করা যক্তিহীন। কারণ প্রযুক্তির চাকচিক্য এবং হালকা বিনোদন কখনও মানুষের চিন্তার গভীরতা বৃদ্ধি করে না।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b9%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%bf/
যে ছবি নিছক বিনোদনের মধ্যে মানুষকে মজিয়ে রাখার পরিবর্তে সমাজসচেতন বক্তব্য তুলে ধরে, যে ছবির নির্মাণশৈলী উদ্ভাবনী সেই ছবি মানুষের মনের মুক্তি ঘটাতে পারে তা যত স্বল্প বাজেটের হোক না কেন। কোন ছবিতে বেশিরভাগ সময় বিনোদন প্রাধান্য দিয়ে কখনও অল্পকটি সচেতন সংলাপ অন্তুভূক্ত করলে তা সেই ছবিকে সমাজসচেতন চলচ্চিত্র করে তুলবেনা। কোন জরুরি সমাজিক সমস্যা টিকে থাকার কারণ সম্পর্কে দর্শককে সজাগ করতে হলে নিশ্চিত করতে হবে যেন ছবিতে উপস্থাপিত বিষয় দর্শকমনে অস্থিরতা আর দুশ্চিন্তা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি মূলত যাদের জন্য সমাজে বিভিন্ন সমস্যা টিকে থাকছে অঙ্গুলি নির্দেশ করতে হবে সেই ক্ষমতাশীলদের প্রতি।