এমন হারও আছে! লুকা মডরিচ যেন এই রাত কখনো ভুলতে পারবেন না। কয়েক সেকেন্ডের এদিক সেদিক। বাজবে শেষ বাঁশি। উল্লাসে ভাসবে ক্রোয়েট শিবির।
কোথায় হবে উল্লাস। উৎসবের ঘণ্টা বাজার আগ মুহূর্তে হাজির হয় রাশি রাশি বেদনার পাল। মডরিচ বিশ্বাস করতে পারেন না। তাইতো যত আক্ষেপ ফুটবল দেবতার প্রতি!
‘ফুটবলের দেবতারা সবসময় আমাদের দেখে হাসেন না। কিন্তু আজ রাতে আমরা যেভাবে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি তাতে আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত।’
ইনজুরি সময়ের অষ্টম মিনিটে গোল খেয়ে ইউরোর শেষ ষোলোতে যাওয়ার সুযোগ হারায় ক্রোয়েশিয়া। অথচ নায়ক হতে পারতেন সবচেয়ে বেশি ৩৮ বছর ২৮৯ দিন বয়সী ফুটবলার হিসেবে গোল দিয়ে।
১ মিনিটের ব্যবধানে দেখেছেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ডোনারুম্মা। ৫৫ মিনিটে ডোনারুম্মার হাত ফসকে যাওয়া বল ফিরতি শটে জালে জড়িয়ে খলনায়ক থেকে নায়ক হয়ে যান মডরিচ।
কিন্তু ভাগ্য দেবতা যে মুখ ফিরিয়ে নেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আজ রাতে ফুটবল আমাদের সাথে নির্দয় ছিল। এটি সর্বোপরি নিষ্ঠুর ছিল, এর আগের ম্যাচেও আমরা ইনজুরি সময়ে গোল খেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ম্যাচে আলবেনিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে ক্রোয়েশিয়া। সেই ম্যাচে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে গোল দিয়ে ড্র করে আলবেনিয়া। পরপর দুবার এমন ঘটনা পোড়াচ্ছে মডরিচকে।
‘তবে এটি ফুটবলের অংশ। এটি আপনাকে প্রচুর হাসাবে, আবার আজকের মতো অনেক দুঃখও দেবে’-বলছিলেন মডরিচ।
মডরিচ কবে থামছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমিতো আমৃত্যু খেলে যেতে চাই। কিন্তু কোথাও না কোথাও থামতে হয়। আমি খেলে যাবো, তবে কতদিন খেলতে পারবো এখনো জানি না।