চুক্তি অনুযায়ী বেতন, ম্যাচ ফি’র বাইরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা ক্রিকেটারের জন্য আলাদা ভাতা রয়েছে। এতদিন ধরে অধিনায়কের সেই ভাতা ছিল ৪০ হাজার টাকা, সেটি বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শতাংশের হিসেবে প্রায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে।
নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন সংস্করণে দায়িত্ব দেওয়ার পরপর অধিনায়ক ভাতা বাড়ানো হয় ৬০ হাজার টাকা। শুধু অধিনায়ক নয়, বেড়েছে সহ-অধিনায়কের ভাতাও। ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে সেটি করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখন কোনো সহ-অধিনায়ক নেই।
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিংয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির পক্ষ থেকে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ভাতা বাড়ানোর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনা অনুযায়ী টাকার অঙ্ক অনুমোদিত হয় বোর্ড সভায়। রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ।
বিসিবির নিয়মনুযায়ী একাধিক সংস্করণে দায়িত্ব পালন করলেও একজন অধিনায়কের ভাতা শুধু একটি বিবেচিত হবে। অর্থ্যাৎ তিন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়ক হলেও তিনজনই ১ লাখ টাকা করে ভাতা পাবে, আবার একজন দায়িত্ব পালন করলেও ১ লাখ টাকা হবে ভাতা।
২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে শান্ত তিন সংস্করণে আছেন এ+ ক্যাটাগরিতে। এই হিসেব অনুযায়ী বেতন-ভাতা থেকে আয়ের দিক থেকে সাকিব আল হাসানকেও ছড়িয়ে গেছেন তিনি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে শান্তর বেতন ৭ লাখ ৯০ হাজার, সঙ্গে যোগ হবে অধিনায়ক ভাতা ১ লাখ টাকা। সবমিলিয়ে বেতন-ভাতা থেকে তার আয় ৮ লাখ ৯০ হাজার।
এবার ক্রিকেটারদের বেতন না বাড়ানো হলেও বেড়েছে ম্যাচ ফি। সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা বেড়েছে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে, ১ লাখ টাকা বেড়েছে ওয়ানডেতে আর সবচেয়ে কম ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
টেস্টে এর আগে ছিল ৬ লাখ টাকা, সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৮ লাখ টাকা, ওয়ানডেতে ছিল ৩ লাখ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ টাকা আর টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।