একেক জন মানুষের ত্বক একেক রকমের। তবে সুন্দর ত্বকের জন্য কম বেশি সবাই যত্ন নেন। আবার অনেকে বিভিন্ন প্রসাধনীও ব্যবহার করেন। তবে অনেকেই জানেন না কিছু খাবার আমাদের ত্বকে প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এটা বিশ্বাস করেন অনেকেই। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের মতে কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
বাদাম: বাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই। বাদামের পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বককে আরও সজীব রাখে যার কারণে ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখতে পারেন।
গাজর: গাজরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা ত্বক রাখে টান টান এবং মসৃণ। এজন্য নিয়মিত গাজরের রস খাওয়া যেতে পারে। আবার গাজর কুচি কুচি করে কেটে মধু ও অল্প পরিমাণে টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
অ্যাভোকাডো: পাকা অ্যাভোকাডো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায়। টানা এক মাস নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে আপনি নিজেই নিজের ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
গ্রিন টি: অনেকেই সুস্থ থাকতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন। এই পানীয়টির রূপচর্চায়ও গুরুত্ব অনেক। গ্রিন টি-তে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, নানাবিধ এনজাইম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ফোলেট, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ক্যাফেইন এবং বিভিন্ন ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল। যা ত্বকের জন্য বেশ উপযোগী। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ডার্ক চকলেট: ত্বকের যত্নে ডার্ক চকলেট বেশ কার্যকর। চকলেটের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। সে জন্য ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে। তবে ৭০ শতাংশের কম কোকোয়া আছে, এমন চকলেট না খাওয়াই ভালো। কারণ, যে চকলেটে কোকোয়া বেশি, তাতে চিনি কম থাকে। আর চিনি আমাদের ত্বকের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর।
ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ: মাছের চর্বি শরীরের জন্য খারাপ নয়। যেসব মাছে ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা-৩) আছে নিয়মিত এ ধরনের মাছ খাদ্য তালিকায় রাখলে ত্বকের উপকার হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে প্রাকৃতিক তেল আছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।