আপনি একজন পাকা শেফ কিংবা আনাড়ি রাঁধুনী হোন না কেন, রান্নার জন্য সঠিক সরঞ্জাম বেছে নেওয়া জরুরি। কারণ এই একটি কাজ আপনার রান্নায় বড় পার্থক্য আনতে পারে। আপনার রান্নার পাত্র যে উপাদান থেকে তৈরি তা রান্না করা খাবারের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করতে পারে। তাই রান্নার জন্য যেকোনো পাত্র দেখতে ভালোলাগলেই কিনে ফেলবেন না। এক্ষেত্রে সঠিক পাত্রটি বাছাই করবেন কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. স্টেইনলেস স্টিল
স্টেইনলেস স্টিলের প্যান নানা ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। এটি টেকসই, প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না এবং মরিচা ও দাগ প্রতিরোধ করতে পারে। যে কারণে এটি রান্নার কাজে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্টেইনলেস স্টিলের প্যান চিকেন বা পনির, পেঁয়াজ বেরেস্তা করা, সুস্বাদু গ্রেভি এবং তরকারি তৈরির জন্য উপযুক্ত। যেহেতু উচ্চ তাপেও এ ধরনের পাত্রে রান্না করা যায় তাই মসলা ভাজতে এবং ফোড়ন তৈরির জন্য আদর্শ হতে পারে এ ধরনের পাত্র।
২. কাস্ট আয়রন প্যান
তাপ ধরে রাখা এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য অনেকেরই পছন্দের রান্নার পাত্র হলো কাস্ট আয়রন প্যান। এ ধরনের রান্নার কড়াই আমাদের দেশের প্রায় প্রতি বাড়িতেই পাওয়া যাবে। এগুলি ভারী-শুল্ক প্যান যা ডোসা তৈরির মতো সামঞ্জস্যপূর্ণ তাপ প্রয়োজন এমন কাজের জন্য উপযুক্ত। আপনি যদি এ ধরনের পাত্র কিনতে চান তবে ঐতিহ্যবাহী ঢালাই লোহার বদলে এনামেল ঢালাই লোহার পাত্র কিনুন। কারণ এ ধরনের পাত্রে রান্না করলে তাতে ধাতব স্বাদ যুক্ত হয় না। এ ধরনের পাত্রে উচ্চ তাপে রান্না করতে হয় এমন যেকোনো খাবারই তৈরি করা যায়। বিশেষ করে ডিপ ফ্রায়েড খাবার তৈরিতে এ ধরনের কড়াই বেশি ব্যবহার করা হয়।
৩. গ্লাস প্যান
গ্লাস প্যান বা কাঁচের প্যান ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। এটি বেকিংয়ের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ, কারণ এ ধরনের পাত্র ধীরে ধীরে এবং সমানভাবে গরম হয়। হালুয়া এবং কেকের মতো ডেজার্টের মৃদু তাপ প্রয়োজন হয়। এমন খাবার তৈরির জন্য এ ধরনের পাত্র উপযুক্ত। কাচের প্যানের একটি সেরা দিক হলো এটি অ্যাসিডিক খাবারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে না, তাই এতে খাবার রান্না করলে বা রাখা হলে তা সঠিক স্বাদই বজায় রাখবে। এ ধরনের পাত্রে রান্না করে তাতেই সরাসরি টেবিলে খাবার পরিবেশন করতে পারবেন, আলাদা পাত্রে ঢালার প্রয়োজন হবে না।
৪. কপার প্যান
কপার বা তামার প্যান দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয় এবং রান্নার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। সস, ক্যারামেল এবং টেম্পারিং চকোলেট তৈরির মতো সূক্ষ্ম কাজের জন্য তামার প্যান ব্যবহার করুন। এগুলি জিলাপি এবং লাড্ডুর মতো মিষ্টি তৈরিতেও দুর্দান্ত। তবে এ ধরনের পাত্র তামার অন্যান্য পাত্রে তুলনায় বেশি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়, তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে এবং মুছে রাখতে হবে।