স্বপ্নের মতো অভিষেকে বিশ্ব ক্রিকেটের সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ পেসার শামার জোসেফ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক এবার আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন। জানুয়ারি মাসের সেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ওলি পোপ ও অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউডকে।
জীবন কখনো কখনো কল্পনাকেও হার মানায়। শামার জোসেফের কথাই ধরা যাক। বছর খানেক আগেও ছিলেন নৈশপ্রহরী। সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ডাক পেয়েছিলেন ওয়েস্ট উইন্ডিজ জাতীয় দলে। অ্যাডিলেডে অভিষেকে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম বলেই স্টিভ স্মিথের মতো তারকা ব্যাটারকে ফিরিয়ে আলো কেড়েছিলেন। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া জিতলেও ৯৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন তিনি। ব্যাট হাতেও খেলেন কার্যকর এক ইনিংস। ১১ নম্বরে নেমে দলের প্রয়োজনে করেছেন ৩৬ ও ১৫।
তবে চমকের তখনো বাকি। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টে যা করলেন তা রূপকথাকেও হার মানাবে। দিবারাত্রির টেস্টটিতে ক্যারিবীয়দের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক সেই শামার জোসেফ। মিচেল স্টার্কের বিধ্বংসী ইয়র্কারে পায়ের আঙুল ভেঙে গিয়েছিল তার। সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়া ডানহাতি এই পেসারের টেস্ট তখনই শেষ হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
কিন্তু কে জানতো এই শামারের হাত ধরেই ব্রিসবেনের গ্যাবায় ইতিহাস লিখবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ! ১১.৫ ওভারের ম্যাচ জেতানো এক স্পেলে ৬৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছিলেন এই ক্যারিবীয় পেসার। দুই টেস্টে ৫৭ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ১৩ উইকেট।
গায়ানার বারাকানা নামে ছোট্ট গ্রাম থেকে প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে উইন্ডিজ জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া শামার জোসেফ রাতারাতি বনে গেছেন সুপারস্টার। বিশ্ব ক্রিকেটে এখন পরিচিত নাম তিনি। তাকে নিয়ে টানাটানি পড়ে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও।