ওজন কমানোর কথা উঠলে প্রথমেই খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ আসে। ওজন কমানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে না খেয়ে থাকা, এটাই মনে করেন অনেকেই। তাই নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়ার পথে না গিয়ে বরং অনশনের পথ বেছে নেন অনেকে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে গিয়ে যদি শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব ঘটে, তা হলে ওজন তো কমেই না, উল্টে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। সেজন্য এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করবে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন শরীরের পেশি মজবুত করে। অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও প্রোটিন অত্যন্ত সহায়ক। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে থাকা উচ্চ গ্লাইসেমিক দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত খাবার, ডিম এবং ফল, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাবারে ভরপুর প্রোটিন থাকে।
ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার
পেটের অতিরিক্ত মেদ ও চর্বি কমাতে ওমেগা-থ্রি জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও আখরোট, চিয়া বীজ, সয়াবিন, সয়াবিন তেল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
বিপাকক্রিয়ায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করে ফাইবার। হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফাইবার ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্র কমাতেও সহায়ক। বীজ, বিভিন্ন শস্য, ব্রাউন রাইস, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম ইত্যাদি খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/election-tiktok/
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বাইরে বার করে শরীর তাজা ও ঝরঝরে রাখে ভিটামিন-সি। টক জাতীয় ফল, সবুজ শাকসবজি, স্ট্রবেরি, আমলকিতে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।