সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকারকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে ফেরানো হয়েছে। ফলে প্রথম তিন ম্যাচের থেকে পরের দুই ম্যাচের স্কোয়াড আরো শক্তিশালী হলো। সাকিব ফিরেছেন ১০ মাস পর। ইনজুরি কাটিয়ে সৌম্যও ফিরেছেন। আর বিশ্রাম শেষে মোস্তাফিজ ফিরেছেন নিজের জায়গায়।
স্কোয়াড ঘোষণার পর নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমাদের দলে তিনটা পরিবর্তন এসেছে। সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান দলে এসেছে। বর্তমান দল থেকে বাইরে যাচ্ছে পারভেজ হোসেন, আফিফ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।’
শরিফুলকে নিয়ে রাজ্জাক বলেছেন, ‘শরিফুলকে মূলত বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য এবং আপনারা সবাই জানেন, মোস্তাফিজের বেলাতেও আমরা একই কাজ করেছি। যখন ও ভারত থেকে এসেছে। ওর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবারকে একটু সময় দেওয়ার দরকার আছে। যেহেতু অনেক দিন ধরে ক্রিকেটের মধ্যে রয়েছে।’
‘শরিফুল অনেক দিন ধরে ক্রিকেটের মধ্যে রয়েছে। হাই ইন্টেন্সিটির ম্যাচ খেলছে, প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলেছে। ওকে একটা বিরতি দেওয়া হয়েছে। যাতে পরিবারকে সময় দিতে পারে। নিজেও একটু বিশ্রাম পায়। শরীরটাকে রিচার্জ করে ফিরতে পারে।’-যোগ করেন তিনি।
আইপিএল খেলা শেষে মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তার ওয়ার্কলোড কমাতে আইপিএল থেকে ফেরানো হয়েছে। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় তাকে যত্নে ব্যবহার করবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
রাজ্জাক বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে বলেছেন, ‘মোস্তাফিজের ব্যাপারটাও ঠিক একইরকম। ভারত থেকে ফেরার পর ওর সঙ্গে কথা বলেই সব করা হয়েছে। আমরা ওকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম একটা পর্যায়ে। ওকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আগে নেবে নাকি পরে নেবে। তো আগে নেওয়ার কথা বলেছে। বিশ্রাম নিয়ে একবারে খেলে চলে যাবে।’
বাদ পড়া পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। মূলত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফেরাতেই তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। পারভেজ হোসেন জায়গা ছেড়েছেন সৌম্যর কাছে। আফিফ বাদ পড়েছেন সাকিব ফেরায়। তবে দুজনের কেউই নির্বাচকদের নজরের আড়াল হচ্ছেন না তা রাজ্জাকের কথায় স্পষ্ট।
রাজ্জাক বলেন, ‘সৌম্য সরকার ও পারভেজ ইমনের ব্যাপারটা যেটা, সৌম্য যেহেতু চোটে ছিল, ও এখন খেলার জন্য ফিট হয়েছে। আমরা চাই ওকে ম্যাচ পরিস্থিতিতে দেখতে যে, ও কী অবস্থায় আছে। এজন্য পরিবর্তনটা করা। যদিও পারভেজ কোনো ম্যাচ পায়নি। তবে ও আমাদের টি-টোয়েন্টি সিস্টেমের মধ্যেই আছে।’
‘আরেকটা পরিবর্তন হচ্ছে সাকিব ও আফিফের ক্ষেত্রে। স্বাভাবিকভাবেই সাকিব তো ছুটিতে ছিল। ছুটি থেকে আসার পর প্রিমিয়ার লিগ খেলেছে এবং আমাদের চিন্তাতেই ছিল, বিশ্বকাপ খেলার আগে কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। শেষ দুটি টি-টোয়েন্টির জন্য আমরা ওকে আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছিলাম।’
‘আফিফের ক্ষেত্রেও একই জিনিস, যারাই এই দলে আছে, সবাই কিন্তু আমাদের সিস্টেমের মধ্যে আছে। সিস্টেমের বাইরে কেউ না। যদিও হয়তো সবাইকে সবসময় সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না, দলের কম্বিনেশনের কারণে।’ – বলেছেন রাজ্জাক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে এই দুই খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের পর প্রস্তুতিতে কতটা আপ টু মার্ক তারা, সেটাই দেখার।