পার্লারে ফেশিয়াল করাতে গেলে ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলো বিশেষ কায়দায় পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। তার জন্য আলাদা যন্ত্রও রয়েছে। তবে এসব যন্ত্র নিজে নিজে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আবার সবার পক্ষে নিয়মিত পার্লারে যাওয়াও সম্ভব হয় না।
অথচ ত্বকের যে নিজস্ব তৈলগ্রন্থি রয়েছে সেখান থেকে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াতেই সেবাম ক্ষরণ হয়। সঠিক পদ্ধতিতে তা পরিষ্কার না করলে মুখে ব্রণের আধিক্য দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে মুখে গরম পানির ভাপ নিলে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু গরম বাষ্প আবার চামড়ার ক্ষতিও করতে পারে। তাহলে উপায়? চলুন জেনে নেই এ সম্পর্কে—
এক্সফোলিয়েশন
ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রে জমে থাকা তেল, ধুলা ময়লা দূর করার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো এক্সফোলিয়েশন। এটা মূলত দু’প্রকার। প্রথমটি সম্পর্কে প্রায় সবাই জানেন। শক্ত দানাজাতীয় স্ক্রাবের সাহায্যে মুখে এক্সফোলিয়েট করা। অন্যটি হলো রাসায়নিক দেওয়া মাস্ক, জেল। মুখে এটি মেখে রাখলে পোরসে জমে থাকা তেল, ধুলা ময়লা পরিষ্কার করার কাজটি সহজ হয়। তবে স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এই ধরনের রাসায়নিক এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করা ঠিক নয়। আবার শক্ত দানাযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বক আরও স্পর্শকাতর হয়ে পড়তে পারে।
কাঠকয়লার মাস্ক
এত ঝামেলা পোহাতে হয় না, যদি দোকান থেকে ‘অ্যাক্টিভেটেড চারকোল মাস্ক’ কিনে আনেন। মিনিট দশেক মুখে এই মাস্ক মেখে রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তবে এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা নেবেন। ‘প্যাচ টেস্ট’ করিয়ে নিতে পারলেও ভালো হয়।
পোরস স্ট্রিপিং
ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্র থেকে তেল, ধুলা ময়লা সহজে বের করে ফেলা যায় স্ট্রিপ ব্যবহার করলে। এই স্ট্রিপ হল এক ধরনের আঠালো কাগজ। সেটি নাকের ওপর বা আশপাশে চেপে বসিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তারপর টেনে তুলে নিলে কাগজের সঙ্গে সঙ্গে পোরস থেকে তেল, ধুলা ময়লা উঠে আসে।