ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনি কখন কী খাবার খাচ্ছেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন- আপনি যদি দিনের পর দিন সকালের খাবার না খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ওজন বাড়বে। আপনি হয়তো ভাববেন সকালে না খেয়ে একবেলা খালি পেটে থাকলে, ওজন কমে যাবে। বরং উল্টোটাই হবে। কারণ রাতের খাবার খাওয়ার পর অনেকক্ষণ আমাদের পেট খালি থাকে। অতএব সকালে সঠিকভাবে খাওয়া খুবই জরুরি বিষয়। এবার আসা যাক রাতের খাবারের বিষয়ে। রাতের খাবার অর্থাৎ ডিনারের ক্ষেত্রে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে ভালো। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে সচেতন তারা ডিনারের মেনু থেকে কোন কোন ধরনের খাবার বাদ দেবেন, সেই তালিকাতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
জেনে নিন—
ভাত নয়, রুটি খান: রাতে ভাত না খাওয়াই ভালো। পরিবর্তে রুটি খান। এমনিতে ভাত, রুটিতে ক্যালোরির পরিমাণ একই। কিন্তু রুটি খেলে পরিমাপ বুঝতে সুবিধা হয়। আর ভাত খেলে শরীর তুলনায় ভারী হয়ে যায়। অতএব ডিনারে ভাতের বদলে রাখুন রুটি। ভাত তৈরি হয় চাল থেকে যার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট এবং স্টার্চের পরিমাণ অনেকটাই থাকে। এই দুই উপকরণ ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই রাতের খাবার হিসেবে ভাতের পরিবর্তে রুটি খাওয়াই শ্রেয়।
ভাজাভুজি বাদ থাক ডিনারে: রাতের খাবার একটু হালকা ধরনের হওয়া ভালো, যা সহজপাচ্য। সেক্ষেত্রে ভাজাভুজি, ডিপ ফ্রাই করা খাবার, অতিরিক্ত তেলমশলা-ঝাল যুক্ত খাবার ডিনারে এড়িয়ে চলুন। নাহলে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাস এইসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই উল্লিখিত সমস্ত খাবার আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। অতএব রাতের মেনুতে বাদ থাকুক ভাজাভুজি জাতীয় খাবার।
যে চরিত্রের কাছে রণবীর কাপুরের সঙ্গে শয্যাদৃশ্যের চরিত্রটি কিছুই নয় তৃপ্তির
আলাদা করে চিনি যুক্ত খাবার ডিনারের মেন্যুতে বাদ: যেসব খাবার অ্যাডেড সুগার থাকে সেগুলো রাতের বেলায় প্লেটে না রাখাই ভালো। মিষ্টি স্বাদের এইসব খাবার আমাদের ওজন মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেরই অভ্যাস থাকে রাতের খাবারের পর একটু মিষ্টি খাওয়া। সেই তালিকায় কখনও কখনও সংযোজন হয় পেস্ট্রি, কেক, আইসক্রিম এইসবও। এগুলো সবই অ্যাডেড সুগার যুক্ত খাবার, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। তাই ডিনারের মেনু থেকে এই জাতীয় খাবারগুলো বাদ রাখলেই ভালো।