ডোনা সৌরভের প্রেম নিয়ে বাঙালির উৎসাহের শেষ নেই! আদর্শ লভ স্টোরির সুন্দর উদাহরণ তাঁরা। বাঙালির আড্ডায় ডোনা গঙ্গোপাধ্য়ায় ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবেই।
যাই হোক, সেসব গল্প-আড্ডা তো চলতেই থাকে। কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, সৌরভ ডোনার সফল দাম্পত্য় এবং সম্পর্কের আসল সিক্রেট কী? কীভাবে তাঁদের মতোই সম্পর্ক ভালো রাখতে পারেন আপনি, চলুন সেসব জেনে নেওয়া যাক। আপনার জন্য় বিশেষ রিলেশনশিপ টিপস…
প্রেমের গল্পের শেষটাও যদি সুন্দর হয়, তবে সেই গল্পটা শুনতেও ভালো লাগে। সবাই আসলে ‘হ্যাপিলি এভার আফটার’ শুনতেই ভালোবাসেন। রূপকথার গল্পে যেমন রাজকুমারী-রাজপুত্রের সুখী জীবনের কথা শুনি, সেরকম অনেক প্রেমের গল্পই আছে যা যে কোনও রূপকথার গল্পকেও হার মানাবে। যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় ও ডোনা গঙ্গোপাধ্য়ায়ের প্রেম।
নয়ের দশকের সেই বিকেল থেকে আজও তাঁরা একসঙ্গে। তাঁরা আমাদের অনেকের কাছেই ভালো একটি উদাহরণ হতে পারেন, যাঁদের ছোটবেলার প্রেমও সাফল্য় পেয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্য়েই ২৫ বছরের বিবাহিত জীবনও পার করেছেন। সৌরভ ও ডোনার সম্পর্ক থেকে কী কী শিখতে পারি আমরা?
কৈশোরের প্রেম : কৈশোরে আমরা বিশেষ মানুষের প্রতি আকর্ষিত হই। প্রেমে পড়ি। ভুল করি ও শিখি। এই কথা প্রায়ই শোনা যায় যে, কৈশোরের প্রেম নাকি পরিপূর্ণতা পায় না। একটা সময় গিয়ে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এই কথাকে মিথ্য়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন সৌরভ ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের কৈশোরের প্রেম।
প্রতিবেশী ডোনার প্রেমে পড়েছিলেন সৌরভ, প্রথম ইঙ্গিত ছিল তাঁর দিক থেকেই। যদিও সৌরভকে মনে মনে ভালো লেগেছিল ডোনারও। প্রেম শুরু সেই সময়েই…কলকাতার এক রেস্তরাঁয় প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন তাঁরা।
বাড়ি থেকে মানবে না : এত বাধার পরেও কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে যাননি সৌরভ। তাঁরা লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন এরকম কথাও শোনা যায়। এই ক্ষেত্রেও তাঁর ‘বাপি বাড়ি যা’ স্টাইলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সৌরভ। তিনি বিয়ে করে নিয়েছিলেন ডোনাকে। তখনও বিষয়টি কেউ জানত না। এদিকে পরের দিন শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ খেলতে চলে যান তিনি।
তাঁর বাবা ফোন করে বললেন, “এটা কী খবর?” পরেরদিন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা ছিল, প্রথম বলেই আউট। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলেন সৌরভ। বাবার ফোন এল। খেলার প্রশংসা করার পর আবারও জিজ্ঞাসা করলেন, “এটা ঠিক কি ভুল?” তাঁর জবাব ছিল, “কলকাতায় ফিরে কথা হবে।” তবে শেষপর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই হয়ে যায়।
একে অপরের কথা রাখা : এত বাধার পরেও কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে যাননি সৌরভ। তাঁরা লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন এরকম কথাও শোনা যায়। এই ক্ষেত্রেও তাঁর ‘বাপি বাড়ি যা’ স্টাইলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সৌরভ। তিনি বিয়ে করে নিয়েছিলেন ডোনাকে। তখনও বিষয়টি কেউ জানত না। এদিকে পরের দিন শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ খেলতে চলে যান তিনি।
তাঁর বাবা ফোন করে বললেন, “এটা কী খবর?” পরেরদিন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলা ছিল, প্রথম বলেই আউট। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলেন সৌরভ। বাবার ফোন এল। খেলার প্রশংসা করার পর আবারও জিজ্ঞাসা করলেন, “এটা ঠিক কি ভুল?” তাঁর জবাব ছিল, “কলকাতায় ফিরে কথা হবে।” তবে শেষপর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই হয়ে যায়।
সম্পর্কে পূর্ণতা : ‘সৌরভের প্রথম বিয়ে’! বিষয়টি ঠিক কী? ১৯৯৬ সালের ১২ অগাস্ট ডোনার সঙ্গে আইনি বিয়ে সারেন সৌরভ। তাঁর পরিবার ঘুণাক্ষরেও ব্যাপারটি আঁচ করতে পারেনি। ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়েডিং রিসেপশন আয়োজন করা হয়। ২০০১ সালে কন্য়াসন্তান সানার জন্ম দেন ডোনা।
কর্মক্ষেত্র আলাদা হলেও সমস্য়া নেই : সম্পর্কে অনেক সময় এটা বড় সমস্য়া হয়ে দাঁড়ায়। সঙ্গীর পেশা আলাদা হলে সেখানে দুজন দুজনের সম্পর্ককে ও পেশাকে বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। সম্পর্ক ভেঙেও যায় এমন হয়েছে। কিন্তু সৌরভ ও ডোনার সম্পর্কে তা হয়নি।
পেশায় নৃত্যশিল্পী ডোনা সবসময়ই সৌরভের ক্রিকেটকে ভালোবেসেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ককেও খেলার সূত্রে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হয়েছে। সুদর্শন সৌরভের অনুরাগীর সংখ্য়া কম ছিল না, তবু তার কোনও প্রভাবই সম্পর্কে পড়েনি।
পথচলা শেষ হয়নি, হয় না : এখন অনেকেই মনে করেন যে, আজকাল সম্পর্ক খুবই ঠুমকো। সামান্য় বিষয়েই ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু এই কথা খুবই ভুল। আসলে সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য় দুজনকেই যথেষ্ট এফর্ট দিতে হয়।
* একে অপরকে দেওয়া কথা রাখতে হয়।
* কঠিন পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকতে হয়।
* একে অপরকে সম্মান করতে হয়।
* একে অপরের পেশাকে সম্মান করতে হয়। তাহলে হয়তো অনেক কঠিন পরিস্থিতিই সহজ হয়ে যায়। অনেক সমস্য়াই সমাধান হয়ে যায়।
প্রায় ২৪ বছরের বিবাহিত জীবন সৌরভ-ডোনার। তাঁদের একমাত্র কন্য়া সন্তান সানাও বড় হয়ে গিয়েছে। তাঁদের এই সম্পর্ক দেখে সত্য়িই প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে, সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছে করে। যে সম্পর্ক সহজেই ভেঙে যায় না। যে সম্পর্কের পথচলা শেষ হয়নি, হয় না।