নতুন বছরে প্রথম প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সফরে বেরিয়েছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। কিন্তু সফরটিতে মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারেনি মেসি ও তার ক্লাব।
সৌদি আরবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসেরের কাছে বিশাল ব্যবধানে হারের পাশাপাশি হেরেছে আল হিলালের কাছেও। এরপর হংকংয়ে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির। সেই ম্যাচটি তারা খেলেছেও কিন্তু চোটের কারণে সেদিন মাঠে নামেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, আর এ নিয়েই যত বিপত্তি।
হংকং একাদশের বিপক্ষে ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা। এই হতাশা ক্ষোভে রূপ নেয় তিন দিন পরই জাপানে আর্জেন্টাইন জাদুকরকে মাঠে নামতে দেখে।
হংকংয়ে বদলি হয়ে কিছুটা সময়ের জন্য মাঠে না নামলেও জাপানে ঠিকই খেলেছেন মেসি, এ নিয়ে মায়ামি এবং মেসির প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন হংকংয়ের সমর্থকরা। এমনকি সরকারিভাবেও চাওয়া হয়েছে ব্যাখ্যা। দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন ব্যুরো তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘তিন দিন পর মেসিকে জাপানে কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলতে দেখা গেল। সরকার আশা করছে, আয়োজক পক্ষ এবং দল এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেবে।’
এদিকে হংকংয়ে মেসি না খেলতে পারায় ক্ষমা চেয়েছে মায়ামি। রয়াটার্সের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি বলেছে, ‘আমাদের দৃঢ় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও (আমরা তাদের খেলাতে পারিনি)। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, রোবারের ম্যাচে লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে সবাই হতাশ হয়েছে। আমরা দুঃখিত যে দুই খেলোয়াড় অংশ নিতে পারেনি। আমরা এটাও স্বীকার করি যে, দেরিতে সিদ্ধান্ত নেয়া আমাদের হংকং সমর্থক ও ইভেন্ট আয়োজক টেটলার এশিয়ার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। আমরা এটা প্রকাশ করার প্রয়োজন মনে করি যে, দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরি খেলার একটি অংশ, আমাদের খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্যকে সবার আগে গুরুত্ব দেয়া উচিত।’