বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক বছরের জন্য নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে এই অলরাউন্ডারের কাঁধে।
এই সময়ের মধ্যেই মিরাজের অধীনে দলকে নতুন করে গড়ে তোলার আশা করছে বোর্ড। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মিরাজ জানিয়েছেন, এটি তার জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। আগামী এক বছরে দলকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চান তিনি। পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ারও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন নতুন এই অধিনায়ক।
মিরাজ বলেন, ‘লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব পেলে ভালো হয় । সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে। যেহেতু দল হিসেবে আমরা এখন একটু সংগ্রাম করছি, তাই বোর্ড হয়তো ভেবেছে একটা বছর একটা জায়গায় দাঁড় করাই দলটাকে। এরপর হয়তো পরবর্তী ধাপ দেখবে কন্টিনিউ করবে না কী করবে। এখন সময় এসেছে ওয়ানডে দলটাকে একটা জায়গায় দাঁড় করানোর। ২ জন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর নিয়েছেন। যারা সুযোগ পাবে তাদেরকেও এই জিনিসগুলো, কারা সুযোগ পাবে, আমার মনে হয় এই ১ বছরের মধ্যে সব সেট করা যাবে।’
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে শুরু হবে মিরাজের মেয়াদ। এর আগেও চারটি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, সদ্য সাবেক হওয়া ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে।
শান্তকে বাদ দিয়ে তাকে অধিনায়কত্ব দেয়া প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘এখন ওয়ানডেতে আমরা হয়তো ১০ নম্বরে আছি, আগে একটা সময় ৫ নম্বরেও ছিলাম। আমি যখন ঢুকেছি ৬ নম্বরে ছিলাম। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আমরা বেশি ওয়ানডে খেলিনি। সেখানে হয়তো একটু ইয়ে হয়ে গেছে। তো পারফরম্যান্সের দিক থেকে শান্ত অনেক ভালো করেছে। দিন শেষে এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তারা কীভাবে চিন্তা করছে, কীভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মিরাজ। ১০৫ ওয়ানডে ম্যাচে ১৬১৭ রান ও ১১০ উইকেট নিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন অভিজাত অলরাউন্ডারদের তালিকায়।
নতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধারাবাহিকতা ও আগ্রাসী মানসিকতা ফিরিয়ে আনা। মিরাজ জানিয়েছেন, তিনি সেই লক্ষ্য নিয়েই দায়িত্ব নিচ্ছেন। দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং দেশের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে চান তিনি।