টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার তাগিদ থেকেই শুরু হয়েছিল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সেই উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে বিগত কয়েকবছরে। টেস্ট ক্রিকেটের সংখ্যা এবং গুরুত্ব দুটোই বেড়েছে। যদিও এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সাফল্যের সংখ্যায় খুব একটা হেরফের হয়নি।
চলতি চক্রে আগের চেয়ে জয়ের সংখ্যা বাড়লেও সামগ্রিক অর্থে বাংলাদেশের টেস্ট আটকে আছে আগের ধারাতেই। তবে এর মাঝেও বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা একেবারেই শূন্য বলা চলে না। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ঘটনা নিঃসন্দেহে। তেমনি দলীয় ব্যর্থতার মাঝে মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সটাও আলাদাভাবে নজর কেড়েছে ক্রিকেটের দুনিয়াতে।
চলতি চক্রে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ রান এবং ৩০ উইকেট পূরণ করেছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। সামগ্রিকভাবেই এই কৃতিত্ব মিরাজের আগে ঘটেছে কেবল ৩ বার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ৯৭ রানের ইনিংস খেলার পথে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। চলতি চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে এই টাইগার অলরাউন্ডারের রান ৫৫৪।
আর বল হাতে মিরাজ এখন পর্যন্ত শিকার করেছেন ৩৪ উইকেট। ব্যাটিং তালিকার তুলনায় বোলিংয়েই মিরাজ অনেকটা এগিয়ে। শীর্ষ উইকেটশিকারীর তালিকায় মিরাজ আছেন ১২তম স্থানে। শীর্ষে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যার উইকেট ৫৬টি। আর ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রান জো রুটের। ইংলিশ এই ব্যাটারের রান ১ হাজার ৭১৭।
মিরাজের আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এক চক্রে ৫০০ রান ও ৩০ উইকেটের জোড়া মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছিলেন কেবল দুইজন। ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন দুইবার। অন্যবার রবীন্দ্র জাদেজার করা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এক চক্রে ৫০০ রান ও ৩০ উইকেট
বেন স্টোকস– ১ হাজার ৩৩৪ রান ও ৩৪ উইকেট (২০১৯-২০২১ চক্র)
রবীন্দ্র জাদেজা– ৭২১ রান ও ৪৭ উইকেট (২০২১-২০২৩ চক্র)
বেন স্টোকস– ৯৭১ রান ও ৩০ উইকেট (২০২১-২০২৩ চক্র)
মেহেদী হাসান মিরাজ– ৫৫৪ রান ও ৩৪ উইকেট (২০২৩-২০২৫ চক্র)