সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই খোশ মেজাজে ধরা দেন বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খান। তাই অনেকেই মনে করেন, ব্যক্তিত্বহীনতার অভাব রয়েছে তার। শুধু তাই নয়, সাড়া নিজের জীবন এবং কাজের ক্ষেত্রেও খুব একটা সিরিয়াস নন বলেও কেউ কেউ মনে করেন।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন সারা। এসময় অভিনেত্রী জানান, পর্দার বাইরে তার হাসিখুশি ইমেজ আর ছটফটে স্বভাবের জন্য অনেকেই হালকাভাবে নেন সারাকে।
তিনি বলেন, আমি মজা করতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি সব সময় আনন্দে থাকতে। এই ইমেজ আমার জন্য কতটা ক্ষতিকর, সেটা আমার জানা আছে। মানুষের ধারণা, আমি শুধু এসবই করতে পারি।
অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি যদি আপনার সঙ্গে কফি খেতে খেতে কৌতুক বলি, তার মানে এই নয় যে আমার মধ্যে শালীনতা কিংবা ব্যক্তিত্বহীনতার অভাব রয়েছে। আমার মনে হয়, মানুষ আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিচার করেন। আমার মধ্যে হাস্যরস আর আত্মসম্মানবোধ— দুটি একসঙ্গে কেন থাকতে পারবে না।
চলতি বছরের ১৫ মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সারা অভিনীত সিনেমা ‘মার্ডার মুবারক’। এরপর গত ২১ মার্চ অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পায় তার ‘অ্যায়ে বতন মেরে বতন’। এ দুই সিনেমায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি।
‘মার্ডার মুবারক’ সিনেমায় দিল্লির এক অভিজাত পরিবারের আধুনিক মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছে সারাকে। অন্যদিকে ‘অ্যায়ে বতন মেরে বতন’ সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামী উষা মেহতার ভূমিকায় ধরা দিয়েছেন তিনি। আর এ দুই ভিন্ন ভূমিকায় সারার অভিনয় মন ছুঁয়ে গেছে সিনেমাপ্রেমীদের।
‘অ্যায়ে বতন মেরে বতন’ সিনেমা মুক্তির পর সবাইকে চমকে দিয়েছেন সাড়া। অনেকেই তাকে এ রকম সিরিয়াস চরিত্রে ভাবতেই পারেননি বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে সারার ভাষ্য, এই সিনেমার প্রোমো মুক্তির পর অনেকেই আমাকে সিরিয়াস চরিত্রে দেখে চমকে গেছেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছিল যে এ রকম এক চরিত্রে আমি কী করছি? তবে এ রকম এক শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে আমি রীতিমতো গর্ববোধ করছি। আরও গর্ববোধ করছি সবাইকে চমকে দিতে পেরে।