কর্মজীবনে সাফল্য সবারই আরাধ্য। এই সাফল্য চট করে আসে না। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর তার সঙ্গে দরকার যোগ্যতা। সেই সঙ্গে অবশ্যই দরকার সময়ানুসারে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং বুদ্ধির প্রয়োগ। মেধার যথাযথ এবং সময়ানুগ ব্যবহার না করলে সাফল্যের পথে বারবারই হোঁচট খেতে হয়। সুতরাং, কী কী কাজ অফিসে করা দরকার, তার সঙ্গে এই বিষয়গুলোও মাথায় রাখা দরকার যে কোন কোন কাজগুলো অফিসে করা যাবে না। ইন্ডিয়া টাইমসে রয়েছে এ বিষয়ে নয়টি পরামর্শ।
১. নতুন চাকরি খোঁজার কথা বলবেন না
অনেকেই একটি কাজে থাকাকালেই আরেকটি চাকরির খোঁজ করেন, আরো ভালো কোনো সুযোগের সন্ধানে থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু বিপত্তি তখনই ঘটবে, যখন এই অনুসন্ধান নিয়ে আপনি কোনো সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলবেন! ব্যাপারটি দিনশেষে আপনার জন্য ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছুই বয়ে আনবে না।
২. নিজের বেতন নিয়ে কথা বলবেন না
হোক সেটা কম বা বেশি, নিজে মাস শেষে কত মাইনে পান, তা নিয়ে কারো সঙ্গেই আলোচনা করবেন না। যদি মনে করেন বেতনাদি কম আর তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। গল্পগুজব আর আফসোস করে কিন্তু আর যাই হোক, বেতন বাড়ে না!
৩. ঘরের কথা অফিসে নয়
অফিসে লম্বা সময় যেহেতু কাটে, সেখানে অনেক সময়ই ব্যক্তিগত জীবনের গল্প করা হয়ে যায় সহকর্মীদের সঙ্গে। এটি একেবারে এড়ানো যায় না, তবে যতটা পারা যায় ব্যক্তিগত জীবন নিজের কাছেই রাখুন। ভুল করেও কোনো সহকর্মীর সঙ্গে নিজের যৌনজীবন নিয়ে কথা বলবেন না।
৪. মশকরায় সাবধান
আপনি হয়তো নেহাত হাসিঠাট্টার জন্যই কাউকে কিছু বললেন, হতে পারে যে আপনি এমনই এক রসিক মানুষ যে কথায় কথায় মজাঠাট্টা করে বসেন, কিন্তু সবাই তো আর এই মজাকে স্বাভাবিকভাবে হজম করতে নাও পারে! অনেকেই হাসিঠাট্টা বা মশকরাকে সিরিয়াসভাবে নিয়ে বসে। কাজেই সহকর্মীর মেজাজের ধাঁত বুঝে মজা করুন।
৫. অন্যের জীবন নিয়ে কৌতূহল দেখাবেন না
পেশাদার সম্পর্ক পেশাদারিত্বে বজায় রাখুন। আপনার সহকর্মী অফিসের পরে কোথায় যায়, ছুটিতে কোথায় বেড়াতে তার ভালো লাগে-এটা জেনে আপনার কোনো লাভ নেই। কেউ যদি নিজ থেকে আগ্রহ করে এসব আপনাকে না বলে, তবে এ ধরনের কৌতূহল দেখানো অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানোর মতোই বিরক্তিকর আচরণ।
৬. বুঝেশুনে পোস্টিং, শেয়ারিং
অফিসে প্রতিনিয়ত কী করছেন, দুপুরে কে কে একসঙ্গে খেয়েছেন বা কোথায় খেতে যাবেন, বিকেলে কোন জায়গায় বসে চা খান, আজকে অফিস শেষে কোথায় হ্যাংআউট করছেন, কাজের চাপে আপনার ঘুম আসছে-এ ধরনের পোস্ট, ছবি, সেলফি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই হয়। এ ধরনের কোনো কিছু যে পোস্ট করবেন না, তা নয়; তবে ব্যাপারটি নিয়মিতভাবে করতে থাকলে আপনি কেবলই একজন বিরক্তিকর মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
৭. প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিজের মাঝে রাখুন
কাজের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলতে যাবেন না। আর কার চেয়ে কে ভালো বা কে যোগ্য, এসব নিয়ে কখনোই আলোচনা করতে যাবেন না।
৮. নিজের বাজে অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করবেন না
অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস রয়েছে। এগুলো জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেইসঙ্গে এগুলো নিয়ে অফিসে আলোচনা করা ক্যারিয়ারের জন্যও সমান ক্ষতিকর। আপনি দিনে কতগুলো সিগারেট খান অথবা কোন ব্র্যান্ডের মদ খেতে আপনার ভালো লাগে বা কী কী কিনে আপনার সব সময়ই অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়-এগুলোর আলোচনা বন্ধুদের আড্ডায় করুন, অফিসে নয়।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/coffe-naki-green-tea-2/
৯. কাজের অসন্তুষ্টি নিয়ে কথা বলবেন না
চাকরিটা একেবারেই ভালো লাগে না, কাজ করতে করতে এক্কেবারে ক্লান্ত, কাজ ছেড়ে দিতে পারলে জীবনটা বাঁচে- এ ধরনের কর্মজনিত ক্লান্তি আর হতাশার কথা বলেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন! এসব কথাও বন্ধুমহলের জন্য জমিয়ে রাখুন, অফিসের জন্য নয়!