অফিস গসিপ একটি অস্বাস্থ্যকর সংস্কৃতি। এটি কাজের পরিবেশ নষ্ট করে। অফিসের গসিপ থেকে নিজেকে দূরে রাখার অভ্যাস আপনার পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করবে। যদিও গসিপ থেকে দূরে থাকা কঠিন হতে পারে, তবে পেশাদার মনোভাব গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি না চাইলেও অনেক সময় হয়তো গসিপে জড়িয়ে যান। তবে প্রচেষ্টা থাকলে এটি এড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী করবেন-
১. ইতিবাচক থাকুন
ইতিবাচক এবং প্রগতিশীল কাজের সংস্কৃতি তৈরি করার চেষ্টা করুন। তখন আপনার নেতৃত্ব সহকর্মীদের আপনাকে অনুসরণ করতে সাহায্য করবে। কাজের নীতি, সততা এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন। এটি বেশ সহায়ক। নিজের কাজের প্রতি নিবেদিত থাকলে তা আপনাকে অফিস গসিপ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
২. গসিপের অংশ হবেন না
যেখানে গসিপ জমে উঠছে বা ওঠার সম্ভাবনা আছে, সেই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প বা আড্ডায় বেশি সময় ব্যয় করবেন না। পেশাদার হওয়ার চেষ্টা করুন এবং বস এবং পরিচালকদের সম্পর্কে ফ্রি-টাইম গসিপ এড়িয়ে চলুন।
৩. বাউন্ডারি নির্ধারণ করুন
আপনার সহকর্মীদের জানতে দিন যে আপনি কাজের নীতি, সততা এবং পেশাদারিত্বে বিশ্বাস করেন। অফিসের গসিপ থেকে বিরত থাকার জন্য কর্মক্ষেত্রে বাউন্ডারি নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি সহায়ক কর্ম সংস্কৃতি তৈরি করবে।
৪. কাজের কথা বলুন
কোনো সহকর্মী কোনো বিষয়ে আপনার মতামত জানার চেষ্টা করলে গসিপে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবেন না। এর পরিবর্তে, গসিপ শুরু হলে কথোপকথনটি কাজ-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।
৫. পেশাদার হোন
কর্মক্ষেত্রে কথোপকথনে পেশাদার রাখুন। আপনার ব্যক্তিগত জীবন ওভারশেয়ার করার চেষ্টা করবেন না বা চলমান কোনও গসিপ সম্পর্কে মন্তব্য করবেন না। পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পারলে তা আপনাকে গসিপ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
৬. করণীয় তালিকায় মনোযোগ দিন
কাজে ভালোভাবে মনোনিবেশ করলে তা আপনাকে কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন গসিপ থেকে উদ্ধার করতে পারবে। আপনি যদি গসিপ শুনতে পান, তবে ন্যূনতম না আগ্রহ দেখিয়ে এবং এতে অংশ না নিয়ে এড়াতে চেষ্টা করুন। এর পরিবর্তে আপনার কাজের প্রতি অগ্রাধিকার দিন।
৭. পরচর্চাকারীদের এড়ানোর চেষ্টা করুন
পরচর্চা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নম্রভাবে কথোপকথনের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা বা কেবল শোনা এবং কোনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার অভ্যাস আপনাকে অফিসের রাজনীতি এড়াতে সাহায্য করবে।