প্যারিস অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা জায়গা করে নিলে সেখানে খেলবেন লিওনেল মেসি ও আনহেল ডি মারিয়া। এমন গুঞ্জন ছিল শুরু থেকেই। কদিন আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে আলবিসেলেস্তেরা নিশ্চিত করেছে অলিম্পিকের টিকিট। তবে প্যারিসে খেলার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন ডি মারিয়া। অন্যদিকে, রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা মেসির সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বছর চারেক আগেও লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের একমাত্র অর্জন ছিল অলিম্পিক স্বর্ণপদক। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে এসেছিল সেই সাফল্য। সেবার আর্জেন্টিনার সাফল্যের বড় কারিগর ছিলেন মেসি ও অ্যানহেল ডি মারিয়া। মেসির বাড়ানো পাসে বেইজিংয়ে ফাইনালের একমাত্র গোল করেছিলেন ডি মারিয়া। ১৬ বছর পর সেই উত্থানের মঞ্চেই আরও একবার দেখা যেতে পারে মেসি-ডি মারিয়া জুটিকে-এই আভাস আগেই দিয়েছিলেন তাদেরই একসময়ের সতীর্থ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো।
২০০৮ এর সেই আসরে মাশ্চেরানো নিজেও ছিলেন। সেবার তিনি ছিলেন খেলোয়াড়। এখন কোচিংয়ে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টিনার অলিম্পিক দলের কোচ ও সাবেক এই মিডফিল্ডার জানান, মেসিদের জন্য অলিম্পিকে খেলার দরজা খোলা রয়েছে। অলিম্পিকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল হলেও তিন সিনিয়র খেলোয়াড় নেওয়া সম্ভব।
তবে ডি মারিয়া আগেই জানিয়েছেন, কোপা আমেরিকার পরেই আর্জেন্টিনার জার্সিটা তুলে রাখতে চান তিনি। এরপর আকাশী নীল এবং সাদার ওই জার্সিতে কখনোই দেখা যাবে না আর্জেন্টিনার সর্বজয়ী এই উইঙ্গারকে। তবে মেসি কিছুই জানাননি। যে কারণে মাশ্চেরানো নিজেও সুযোগ নিয়ে উড়াল দিয়েছেন মেসির কাছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দিলেন অলিম্পিকে খেলার প্রস্তাব।
জবাবে মেসি যা উত্তর দিলেন, তাতে খানিক আশাবাদী হতে পারেন আর্জেন্টিনার ভক্তরা। টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে মাশ্চেরানো জানান, ‘আমি লিওর (মেসি) সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সে ইন্টার মায়ামির হয়ে কেবল মৌসুম শুরু করেছে। অলিম্পিকের আগে এখনো অনেকটা সময় বাকি।’
অলিম্পিকের কাছাকাছি সময়ে কোপা আমেরিকার মতো টুর্নামেন্টও অপেক্ষা করছে আর্জেন্টিনার জন্য। সেটাও উল্লেখ করলেন যুব দলের কোচ, ‘এটাও বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে, সামনে কোপা আমেরিকাও আছে। এটা খুব সহজ পরিস্থিতি নয়। আমাদের দেখতে হবে যে অলিম্পিকে খেলার মতো শারীরিক শক্তি তার সত্যিই আছে কি না।’
মেসিকে পাওয়ার জন্যও নিজের দরজা খোলা রেখেছেন মাশ্চেরানো, ‘আমরা তাকে খেলার জন্য আগাম নিমন্ত্রণ জানিয়ে রাখব। আর আমরা তাকে তার যা প্রয়োজন তা দেব, যেন সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে পারে। পাশাপাশি ক্লাবের দিক থেকেও দেখতে হবে। ইন্টার মায়ামি এবং এমএলএসের জন্য তার অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি সহজ নয়।’
অন্যদিকে তরুণ খেলোয়াড়দের জায়গা করে দিতে অলিম্পিকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডি মারিয়া। তার প্রসঙ্গ উঠতে মাশ্চেরানো বলেন, ‘আনহেল (ডি মারিয়া) আমার কলের প্রশংসা করেছেন, তবে প্যারিসে যাওয়ার তার কোনো ইচ্ছা নেই। তাকে আমরা বাতিল করে দিয়েছি, ও তরুণ খেলোয়াড়দের জায়গা দিতে চায়।’