চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রায় সবগুলো ম্যাচই হচ্ছে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে। পাশাপাশি আছে ইম্প্যাক্ট সাবের সুবিধা। সবমিলিয়ে এবারের আসরে রানবন্যা চলছে। ব্যাটারদের এমন তাণ্ডবের মধ্যে যেন দিশেহারা নাবিক বোলাররা! রীতিমতো অথৈ সাগরেই পড়েছেন তারা। মিচেল স্টার্ক, আনরিক নরকিয়ে, কাগিসো রাবাদা কিংবা রশিদ খানদের মতো তারকারাও পায়ের তলায় মাটিয়ে খোঁজে পাচ্ছেন না।
বোলারদের এমন খারাপ অবস্থার চিত্রটা আরও স্পষ্ট পরিসংখ্যানে। চলতি মৌসুমে বোলাররা ওভারপ্রতি গড়ে ৯.৪৯ রান করে দিয়েছেন। এবার দলগুলো আড়াই শ রানের কোটাই ছুঁয়েছে ৭ বার। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি মনে করেন, ফ্ল্যাট উইকেট এবং ইমপ্যাক্ট–সাবের নিয়মের কারণেই বোলারদের এমন দিন দেখতে হচ্ছে।
সৌরভ বলেছেন, ‘বোলারদের জন্য মোটেও সহজ নয়। তারা সবকিছুতেই ভুগছে এবং ব্যাট ও বলের (লড়াইয়ে) ভারসাম্য আনতে ভবিষ্যতে এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
এই নিয়মের পক্ষে নন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। কয়েক দিন আগেই ‘ক্লাব প্রেইরি ফায়ার’ পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘ইমপ্যাক্ট–সাব নিয়মের আমি ভক্ত নই। এটা অলরাউন্ডারদের পেছনে টেনে ধরবে, আর দিন শেষে ক্রিকেট ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’
সৌরভ-রোহিতের মতোই এই নিয়মের বিরোধীতা করেছেন সুনীল গাভাস্কার। তিনি বলেছেন, ‘আমি যেটা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, প্রতিটি মাঠে বাউন্ডারির সীমানা বাড়ান… বাউন্ডারি একটু বাড়ালে ক্যাচ এবং ছক্কার পার্থক্য বোঝা যায়। এলইডি কিংবা বিজ্ঞাপন বোর্ড পিছিয়ে ২–৩ মিটার বাউন্ডারি বাড়ানো যেতেই পারে। যেটা পার্থক্য গড়ে দেবে। নয়তো বোলাররা ভোগান্তির মধ্যেই থাকবে।’