অ্যাপল ১২৮ জিবি স্টোরেজ মেমোরি ও ভ্যারিয়েন্টসহ বাজারে আইফোন বিক্রি করছে। আইফোনে থাকা সব হাই-টেক ক্যামেরা ফিচারের পরেও এতে রয়েছে ১২৮ জিবি স্টোরেজ। তবে অধিকাংশ গ্রাহক অ্যাপলের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন।
যদিও মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ১২৮ জিবি অনেকগুলো ছবি সেভ করার জন্য যথেষ্ট। অ্যাপল লোট অফ স্টোরেজ ‘লট অফ স্টোরেজ’ মন্তব্যে নিজেদের দাবি প্রমাণ করার জন্য একটি বিজ্ঞাপনও নিয়ে এসেছে।
৩০ সেকেন্ডের ক্লিপটিতে একজন ব্যক্তি অন্য ছবির জন্য জায়গা তৈরি করতে আইফোন থেকে তার কিছু ছবি মুছে ফেলে, কারণ তার স্টোরেজ শেষ। কিন্তু তারপরে অ্যাপল একটি চটকদার বার্তা যোগ করে বলে, আইফোন ১৫-তে অনেক ছবির জন্য প্রচুর স্টোরেজ রয়েছে।
অ্যাপল ৬৪ জিবি আইফোন মডেলটি বাদ দিয়ে এবং চার বছর আগে ১২৮ জিবি বিকল্পের সঙ্গে লাইনআপ শুরু করে বড় পরিবর্তন করেছে। সেই থেকে অ্যাপল নতুন আইফোন চালু করেছে, যেগুলো বড় ক্যামেরায় আপগ্রেড পেতে চলেছে, যার ছবিগুলো আগের থেকে আকারে বড় করে ৷ অ্যাপল এখনও ১২৮ জিবি স্টোরেজকে যদিও অনেক জায়গা বলে মনে করে। তারপরও এটি পর্যাপ্ত নয় বলতেই হয়। বিশেষ করে গ্রাহকরা নিজেদের ডাটা রাখার জন্য শুধুমাত্র সরাসরি আইফোন স্টোরেজের উপর নির্ভর করেন। কিছু জায়গা কেনার জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার পরিবর্তে রয়েছে আই ক্লাউড বা গুগল ক্লাউড স্টোরেজ।
অনেকেই মনে করেন, কিছু আইফোন ক্রেতা আনন্দের সঙ্গেই নতুনগুলোর জন্য স্থান তৈরি করতে পুরোনো ছবিগুলো মুছে ফেলবেন। কিন্তু কেন ২৫৬ জিবিকে ডিফল্ট আইফোন স্টোরেজ বানানো হবে না সেই দাবি উঠছে। তাছাড়া আইফোন প্রো ভ্যারিয়েন্টগুলো আজকাল বেস স্টোরেজ মডেল হিসেবে ২৫৬ জিবি দিয়ে শুরু হয়।
মুস্তাফিজে মুগ্ধ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব, যা বলছেন ক্রিকেট কিংবদন্তিরা
আশা করা যাচ্ছে, পরিবর্তনটি এই বছর নজরে আসবে যখন আইফোন ১৬ সিরিজ সেপ্টেম্বরের কাছাকাছি রোল আউট হবে। তখন গ্রাহকদের অ্যান্ড্রয়েডে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য করার পরিবর্তে তাদের খুশি রাখতে অতিরিক্ত ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। যার ফলে আইফোনে একই সঙ্গে অনেক স্টোরেজ পাওয়া যেতে পারে।