লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে মাশরাফি বিন মর্তুজা। ঘরোয়া লিগেও অনিয়মিত এই পেসার। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যস্ত ছিলেন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। আর নির্বচান শেষ করে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই যোগ দিয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স শিবিরে। দলের অধিনায়ক হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে মাঠেও নেমেছেন তিনি। তবে তার ফিটনেসে যে ঘাটতি আছে তা স্পষ্টতই দেখা গেছে।
প্রথম ম্যাচে বোলিং করেছেন। পেয়েছেন উইকেটও। তবে বোলিং করেছেন ছোট রানআপে। প্রথম দুই ওভার ভালো বোলিং করলেও নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে খরুচে ছিলেন এই অভিজ্ঞ পেসার। আর আজকের ম্যাচে তো বোলিংই করেননি।
আজকের ম্যাচের আগেই অবশ্য মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থকে নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক আমরা তার নাম দিয়েছি, অসাধারণ লিডার। সে সবার কথা শুনে, খেলাটা ভালো বুঝে। কিন্তু অধিনায়ক যদি নিজে পারফর্ম করে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ হয়।’
‘আট মাস সে ক্রিকেটের বাইরে ছিলো, নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত ছিলো। একদিন মনে হয় অনুশীলনে এসেছিল বল করেছিলো কিনা জানি না।’-আরো যোগ করেন আশরাফুল।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাশরাফির উইকেট পাওয়া নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘নেমেই প্রথম বলে উইকেট পেয়েছে (হাসি)। আসলে ওকে যখন মোকাবেলা করে একটা তরুণ খেলোয়াড় তারা আসলে দ্বিধায় থাকে আমি মারব কি মারব না। আউট হলে একটা প্রেস্টিজের বিষয় আছে। এইসব জিনিসের কারণে হয়তবা ফ্রিলি খেলতে পারে না।’
মাশরাফিকে ক্রিকেটীয় যুক্তির বাইরে গিয়ে খেলানোয় ছোট করা হচ্ছে টুর্নামেন্টকেই, এমনটাই ধারণা আশরাফুলের। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এইভাবে এই টুর্নামেন্টে আসলে… সে কিন্তু খেলতে চাচ্ছিলো না, মালিকরা চাচ্ছে সে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকুক। এটা আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টটাকে ছোট করা হচ্ছে। কারণ এই ধরণের টুর্নামেন্ট পুরো বিশ্বজুড়ে দেখছে। এখানে আমাদের আগামীর খেলোয়াড় আসবে। এই যে ছয়মাস পর আমাদের বিশ্বকাপ। তাদের (সিলেট স্ট্রাইকার্স) দলে কিন্তু রেজাউর রহমান রাজা বসে আছে। যার একটা সুযোগ ছিলো এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে বিশ্বকাপে সম্ভাবনা থাকত। সে জায়গায় একটা মিসিং।’