চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ ছন্দে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এখনও পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা উইকেটসংগ্রাহক টাইগার এই পেসার। তবে দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে আসছে মুস্তাফিজের। শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পেসারকে আইপিএল খেলার ছাড়পত্র দিয়েছিল বিসিবি। এরপর ছাড়পত্রের মেয়াদ আরও একদিন বাড়িয়েছে বোর্ড।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২ মে দেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ। তবে বিসিবি বলছে মুস্তাফিজকে ফেরানোর কারণ শুধুই জিম্বাবুয়ে সিরিজ নয়। তার ফিটনেস ওয়ার্ক লোডের ব্যাপারও মাথায় রাখছে বোর্ড। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আজ গণমাধ্যমে কথা বলেছেন মুস্তাফিজ ইস্যুতে।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘তারা চাইলে মুস্তাফিজ থেকে শতভাগ নেওয়ার জন্য। মুস্তাফিজের ফিটনেস, স্বাস্থ্য এসব নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, কিন্তু আমাদের আছে। মুস্তাফিজকে এখানে ফেরানোর কারণ শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য নয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজে আমরা তাকে ওয়ার্কলোড ঠিক রেখে খেলাব। আইপিএলে থাকলে সেই পরিকল্পনা হবে না। সুতরাং মুস্তাফিজের শেখার অধ্যায় শেষ। মুস্তাফিজকে শেখানোর আর কোনো দরকার নেই। সে সাত-আট বছর ধরে ক্রিকেট খেলে। আইপিএলে খেলে। তো লাভবান তারা হবে, আমরা হবো না।’
‘মুস্তাফিজকে দেশে ফিরিয়ে আনা মানেই যে আমরা তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলাব তা নয়। আমরা তাকে ওয়ার্ক লোড দেব, চাপ কমাব, দলের সঙ্গে থাকবে, বোঝাপাড়া বাড়বে। বিশ্বকাপের মতো একটা বড় ইভেন্টে যাচ্ছে, যাওয়ার আগে তো এডজাস্ট করতে হবে। ফিট থাকতে হবে। আই নিড হিম।’-আরও যোগ করেন জালাল।
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আইপিএল খেলে দুই খেলোয়াড় ক্লান্ত ছিলেন বলে জানালেন জালাল ইউনুস। সেই পরিস্থিতি ফের তৈরি হতে দিতে চায় না বিসিবি। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে দুজন খেলোয়াড় আইপিএল খেলে বিশ্বকাপে যোগ দিয়েছিল। তারা বলেছে তারা ক্লান্ত ছিল। আমরা ঐ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাওয়ার আগে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) তাকে ফিজিক্যালি ফিট হতে হবে। ক্লান্ত হয়ে গেলে সে ডেলিভার করবে না। তাহলে আমার কী দরকার? আমার তাকে প্রয়োজন। আমি সতেজ মুস্তাফিজকে চাই, ক্লান্ত মুস্তাফিজ চাই না।’