ই- বাণিজ্যের জন্যে সবথেকে সুবিধাজনক দিকটি হলো কোনো দোকানের আয়োজন করতে হয়না এবং সরাসরি কলেকশনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়না। তাই এখনকার দিনে খুচরা ব্যাবসায়ের থেকে অনেকেই ই- বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছেন।কম খরচে শুরু করার জন্যে এবং একটি মাত্র মোবাইলের সাহায্যেই বাণিজ্য শুরু করা যায়।
শুধুমাত্র কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে এবং সঠিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম থেকেই ব্যবসাতে লাভ করা সম্ভব।নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বিলাসিতা দ্রব্য, ঘর সাজানোর একটা অতি সাধারণ জিনিস থেকে উৎসব মুখর দিনের সরঞ্জাম, ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম সবই এখন অনলাইন। বর্তমানে মোবাইল আমরা কমবেশি সবাই দেখি। ই- কমার্সএর সূত্রপাত সেখান থেকেই। আর যেহুতু সবরকম জিনিসের ব্যাবসাই ইন্টারনেটের দ্বারা সম্ভব আর খুব বেশি পরিশ্রম করার দরকার হয় না। তাই একই জিনিসের অনেক রকম ভ্যারাইটি দেখার জন্যে অনলাইন বিসনেস কে সকলেই পছন্দ করছেন এবং সেখানে নতুন সংযোজন অনলাইন ট্রানসাকশান এর ব্যবস্থা করা।
ইকমার্স বিপণনটিকে আপনার অনলাইন স্টোরের ধ্বজাধারী অগ্রগামী হিসাবে প্রচারমূলক কৌশলের মতো ব্যবহার করে তাকে অর্থপ্রদানকারী গ্রাহক হিসাবে রূপান্তরকরণ করতে পারেন। এবং সেই গ্রাহকরা পোস্ট থেকে যাতে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে পারে ইকমার্স ব্যাবসায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। এটি একটি দুর্দান্ত বিপণন কৌশল যা আপনাকে ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করতে, গ্রাহকের আনুগত্য চালাতে এবং শেষ পর্যন্ত অনলাইন বিক্রয় বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
ইকমার্স বিপণনটি কি ?
ইকমার্স বিপণনটি আপনার অনলাইন স্টোরে ক্রয়বিক্রয় চালানোর জন্য প্রচারমূলক কৌশল ব্যবহার করার, এবং সেই ক্রয়বিক্রয়কে অর্থপ্রদানকারী গ্রাহকে রূপান্তরকরণ এবং সেই গ্রাহকদের পোস্ট-ক্রয় ধরে রাখার অভ্যাসকেই বোঝায়।একটি সামগ্রিক ইকমার্স বিপণন কৌশল আপনার ওয়েবসাইট এবং তার বাইরেও বিপণন কৌশল প্রচার করতে যথেষ্ট পারদর্শী। একটি সাউন্ড মার্কেটিং কৌশল আপনাকে ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করতে, গ্রাহকের আনুগত্য চালাতে এবং শেষ পর্যন্ত অনলাইন বিক্রয় বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।আপনার অনলাইন স্টোরকে পুরোপুরি ব্যবহার করতে বা নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য আরও বিক্রয় চালাতে আপনি ইকমার্স বিপণন ব্যবহার করতে পারেন। এখানে চেষ্টা করার জন্য কয়েকটি ব্যবহারিক ধারণার একটি ওভারভিউ দেওয়া আছে।
ই কমার্স ব্যাবসায় সুবিধা জনক দিকগুলি-
একটি পণ্যের জন্যে যেহেতু ক্রেতার সংখ্যা অনেক এবং এক জিনিস বিভিন্ন রকম ক্রেতাকে বার বার দেখানোর প্রয়োজন পরে না তাই সময় এবং এনার্জি দুটোই সেফ হয়। আপনার পণ্যটি যে কোনো একজন গ্রাহকের মূল প্রয়োজনের সাথে খাপ খাবে একথা হলফ করে বলা যেতেই পারে।
দ্বিতীয়ত কালেকশন বেশ সমৃদ্ধ করার জন্যে এই মার্কেট ওই মার্কেটে না ঘুরে কয়েকজন অভিজ্ঞ এ-কমার্স ব্যাবসায়ীর সাথে কন্টাক্ট করলেই কোন জিনিসের কি রকম চাহিদা, কোন জিনিস কত দামে বিক্রয় করা যায় এসব ব্যাপার বোঝা যায়।
একজন ই -কমার্স ব্যাবসায়ীর থেকে জানা যেতে পারে যে কোন পদ্ধতিতে ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে, কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে কোনো রকম ক্ষতি হবে না।
অনেক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে, নতুন নতুন গ্রাহক অর্জনের জন্যে অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়, সেগুলোকে আরও কার্যকর করতে হয়। কখনও কখনও আপনার গ্রাহকরা জানেন না যে কোনটি প্রিমিয়াম পণ্য উপলব্ধ, বা তাদের প্রয়োজনের জন্য কীভাবে একটি আপগ্রেড বা প্যাকেজকে আরও ভাল উপযুক্ত তা বুঝতে তাদের আরও প্রমাণের প্রয়োজন হতে পারে।
ব্যবসা শুরু করার জন্যে কি করতে হবে
তোমাকে একটা ওয়েবসাইট প্রস্তুত করতে হবে যেখানে সমস্ত উপকরণ সাজানো থাকবে। এই ওয়েবসাইট গুলি অনেক রকম হয়। সস্তা থেকে শুরু করে দামি। খাবার জিনিস থেকে সাজসজ্জার জিনিস সবই এ-কমার্স এর সাহায্যে বিক্রি করা যায় তবে পোশাকের চাহিদাই বেশি থাকে। গুগলে আমরা সবাই কোনো জিনিস সার্চ করি পরপর অনেক ওয়েবসাইট আসে এই ওয়েবসাইট প্রাইস সাহায্য করে ওয়েবসাইট রেঙ্কিং অর্থাৎ কোনটার পর কোনটা থাকবে।
একটা দামি ওয়েবসাইট সাহায্য করে ওয়েবসাইট এর প্রেসেন্টেশন এবং সেটা গুগল পেজের কোথায় থাকবে। সাধারণতঃ দুই তিন হাজার থেকে আট নয় হাজার এর মধ্যে একটা ওয়েবসাইট আপনি কিনতে পারবেন। আপনাকে এই ওয়েবসাইট ডেকোরেশন এর ব্যাপারটা খুব মনোযোগ দিতে হবে। যে কোনো একটা জিনিস তার সাথে তার প্রাইস, এভেইলবিলিটি, ফিচারস, কদিন এর মধ্যে একজন ক্লায়েন্ট সেই জিনিস হাতে পাবে, জিনিসটির ব্যবহারের লাস্ট ডেট সবই যেন সহজ এবং সুন্দর ভাবে সেখানে ফুটে ওঠে।
প্রফেশনাল কথাটি বর্তমানে আমাদের লাইফের সাথে ভীষণ ভাবে জড়িত। প্রথম দেখাতেই ইম্প্রেশন জমাতে হবে এটাই হবে তোমার মেন মোটো আর এই জন্যেই এই কম্পিটিটিভ দুনিয়াতে নিজের জায়গা পাকাপাকি ভাবে সুস্থির করতে হলে দরকার তোমাকে ওয়েবসাইট ডিসাইন করার সময় মনোযোগ দেওয়া। তবে নিজস্য ওয়েবসাইট তৈরী না করে সাধারণ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকেও নিজের এ-কমার্স ব্যবসা করা যায়। তার জন্যে একটা গ্রূপ বানিয়ে সেল করলেও বেশ ভালোভাবে চলতে পারে। তাই যেহেতু এটা খরচ সাপেক্ষ নয় তাই তুমি কি জিনিস বিক্রি করবে সেটা ঠিক করে শুরু করে দাও।
বর্তমান দিনে এডভার্টাইসমেন্ট যে কোনো নতুন জিনিসকে সবার সামনে তুলে ধরে।আর এ-কমার্স এর ক্ষেত্রে যখন কোনো প্রোডাক্টকে সর্বসম্মুখে লঞ্চ করতে হবে সবার মধ্যে আপনার এই চেষ্টাকে ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে সবাই দেখে পছন্দ করে সেটা কেনে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর সাহায্যে তুমি তোমার এরিয়ার মধ্যে তোমার ব্র্যান্ড বা কোম্পানীর ব্যাপারে এডভারটাইস করতে পারো। ব্যাক্তিগত ভাবে কথা বলতে পারো কারণ বিক্রির পরিমানের ওপরেই তোমার ইনকাম নির্ভর করবে। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের সাহায্যে সব কোম্পানি গুলোই তাদের পপুলারিটি বাড়ায়। সেখানে তোমার ওয়েবসাইটের নাম সহ বিজ্ঞাপনের ডিটেলস যেন থাকে সেটা খেয়াল রাখো। সারাদিনে জিনিস ডেলিভারি দেয়ার জন্যে একদিন বা একমাসের জন্যে তোমাকে কত পেমেন্ট করতে হবে সেই দিকে খেয়াল রাখাও তোমার কাজ। এক্ষেত্রে একটু উদারতা গ্রহণ করাই তোমার জন্যে ভালো হবে।
ই -কমার্স এর ব্যাবসার ক্ষেত্রে প্রফেশনাল ব্যাঙ্ক একাউন্ট থাকাটা খুব দরকার। কেউ কোনো জিনিস অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট একাউন্ট এ সেই টাকা চলে যাবে। এছাড়া বর্তমানে যেসব অনলাইন ট্রানসাকশান পদ্ধতি চলে সেসব ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে, দরকার হলে শিখতে হবে।তোমার ইমেইল আইডি প্রফেশনাল করতে হবে। কোনও গ্রাহক কোনো জিনিস কেনার সাথে সাথে তাকে একটি স্বাগত ইমেল প্রেরণ করুন এতে সে খুশি হবে , জিনিসটি পছন্দ হয়েছে কিনা বা যথাযথ হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসাও করতে পারেন।মাঝে মাঝে এক কোড এবং বিনামূল্যে উপহার সরবরাহ করুন।
ব্যবসা বাড়ানোর কয়েকটি টিপস
নতুন ছাড়ের অফার, পণ্যের টিপস, এবং উপযুক্ত হলে কোম্পানির খবরের গ্রাহকদের সতর্ক করতে নিয়মিত নিউজলেটারগুলি প্রেরণ করুন।গ্রাহকদের সম্প্রতি কেনা আইটেমগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে সহায়তা করতে প্রাসঙ্গিক সামগ্রী ভাগ করুন।কোনো মরসুমে নিজস্য উপহার দেওয়ার প্রচারের জন্য ছুটির দিনে সময় মতো একটি সহাস্য প্রচারণা করতে পারেন। আপনার সর্বোচ্চ মূল্যবান গ্রাহকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে পারেন। তাদের ক্রয়ের জন্য আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একটি ব্যক্তিগত নোট প্রেরণ করুন।যদি কেউ আপনার সাইটে গিয়ে কোনো জিনিস ক্রয় না করে তবে তার অভিজ্ঞতা আপনি জানার একটি চেষ্টা করতে পারেন। কীভাবে এটি উন্নত করতে পারেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%af%e0%a6%bc/
এসব দিক বিবেচনা করে বলা যায় ই -কমার্স এখন সাধারণ খুচরা ব্যবসায়ের চেয়ে অনেকটাই ভালো। কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্যে কয়েক লক্ষ টাকার দরকার। যা সবার পক্ষে সম্ভব না। ই -কমার্স তাদের কাছে নিজস্য ব্যবসা শুরু করার একটি কৌশল বলা যেতে পারে। নিজস্য সময়ে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করা যায়। কোনো বাধ্যবাধতার বা মাথাব্যাথার দরকার নেই। শুধু প্রোডাক্টের উপযুক্ত দাম দিয়ে যে কেউ মাসে কয়েক হাজার টাকা লাভ করতে পারে। তাই নতুন উদ্দমে তোমার ব্যবসা শুরু করে দাও।