বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে নোকিয়া। এর মধ্যে ১১০০ মডেলের ফোন মাত্র ৬ বছরে বিক্রি হয়েছে ২৫ কোটি ইউনিট। আর শীর্ষ ২০টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১০টিই নোকিয়ার দখলে। ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানটির পর সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলের আইফোন। নোকিয়ার ওয়েবসাইটে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংখ্যা। বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ প্রাত্যহিক যোগাযোগ ও বিনোদনের উৎস হিসেবে এটি ব্যবহার করে থাকেন। নব্বইয়ের দশকে আবিষ্কৃত কথা বলার এই যন্ত্রই এখন খুদেবার্তা থেকে শুরু করে মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ভিডিও কলিং ও ইন্টারনেট সেবা পেতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্টের (এআই) নির্দেশনায় বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে। এক কথায়, ছোট্ট ডিভাইসটিই পুরো দুনিয়াকে এনেছে হাতের মুঠোয়।
আবিষ্কারের পর থেকে বাজার দখল করে রেখেছিল নোকিয়া। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক মোবাইল ফোন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানও এটি। নোকিয়া-১১০০ মডেলের ডিভাইসটি সারা বিশ্বে বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ২০০৩ থেকে মাত্র ৬ বছরে ২৫০ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয় নস্টালজিক এই মডেল। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে একই প্রতিষ্ঠানের মডেল ১১১০; যা বিক্রি হয়েছে ২৪৮ মিলিয়ন ইউনিট। আজ অব্দি নোকিয়া ফোন বিক্রির এমন রেকর্ড ভাঙতে পারেনি কেউ।
সর্বাধিক বিক্রিত মোবাইল ফোনের তালিকায় আরো রয়েছে আইফোন, নোকিয়া ই সিরিজ, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং এবং মার্কিন মোটোরোলার অবস্থান। তবে সর্বকালে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ২০টি মোবাইল ফোনের মধ্যে ১৮টিই দখল করে রেখেছে নোকিয়া এবং অ্যাপেলের আইফোনের নানা মডেল। স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে অ্যাপেলের আইফোন সিক্স ও সিক্স প্লাস। যার পরিমাণ ২২২ মিলিয়ন ইউনিট। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় ২০১৭ সালে দাম কিছুটা কমিয়ে পুনরায় বাজারে আসে ফোনটি।
টেলিকমের বাজার নিয়ন্ত্রণমুক্ত করায় ইউরোপ ও এশিয়ায় কমতে থাকে নোকিয়ার বাজার। ফলে যার স্থান দখল করে নেয় মার্কিন অ্যাপল, গুগল ও স্যামসাং। তবে হাল ছাড়েনি নোকিয়া। এইচএমডি গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নিয়ে আগের মডেল সংস্কারের মাধ্যমে তৈরি করছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড।