বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক। সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে তিনিই প্রথম ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হলেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই জন্ম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী ছিলেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। তিনি একাধারে মন্ত্রী ও সকল ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। ইউসুফ আলীর পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দশের অধিক সভাপতি পেয়েছে। এদের কেউ মন্ত্রী, কেউ এমপি অথবা সামরিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচন ব্যবস্থা শুরু হয়। নির্বাচন হলেও ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ সরকার মনোনীতই ছিল। কোনো এমপি বা সরকার মনোনীত কেউই এই পদে বসেছেন। ২০১৩ সাল থেকে সভাপতি পদ নির্বাচিত। টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। দুই মেয়াদ পুর্নাঙ্গ পার করলেও তৃতীয় মেয়াদ পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। পাপন পদত্যাগ করায় তার স্থলাভিষিক্ত হলেন ফারুক আহমেদ।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়করা বর্তমান বোর্ডেই রয়েছে। টেস্ট অভিষেকের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়, আকরাম খান ও খালেদ মাহমুদ সুজন পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন গত তিন মেয়াদ থেকেই। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের প্রথম অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ২০০৭ সালে অন্তরতীকালীন বোর্ডের পরিচালক ছিলেন।
অন্য সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে হাবিবুল বাশার সুমন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, শাহরিয়ার নাফিস তারা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কাজ করলেও পরিচালক হননি। সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন না কখনো। তিনি প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন ক্রিকেট বোর্ডে। এক সময়ে বোর্ডের চাকুরে এক দশক পর বোর্ডে ফিরলেন বোর্ড প্রধান হয়ে।
সভাপতিদের অনেকে সরকার থেকে রাজনৈতিকভাবে মনোনয়ন হলেও কয়েকজনের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। সাবের হোসেন চৌধুরী, আহম মোস্তফা কামাল, পাপন এরা আবাহনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা সবাই সংগঠক, ক্রিকেটার নন। দেশের আরেক শীর্ষ ফেডারেশন ফুটবলও সভাপতি আগে মনোনীতই ছিল। সেখানেও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই বসতেন।
সাবেক ফুটবলার মেজর হাফিজ আশির দশকে বাফুফে সভাপতি ছিলেন। মেজর হাফিজ পাকিস্তান দলে খেললেও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ দলে খেলতে পারেননি। ২০০৮ সালে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনই প্রথম ফেডারেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন।